জয় প্রকাশ : জীবন নিয়ে বিশিষ্টজনদের আলোচনা সভা। সবাই নিজ অভিজ্ঞতার নিরীখে আলোচনা করছেন। এক সমঝদার বক্তা বললেন, ‘আমি জীবনের সবচেয়ে মধুর দিনগুলো এমন এক নারীর সঙ্গে কাটিয়েছি, যিনি আমার স্ত্রী নন।’ এই কথা বলে বক্তা চুপ! শ্রোতারাও হতভম্ব! বিখ্যাত একজন লোক এভাবে নিজের গোপন তথ্য জনসম্মুখে ফাঁস করে দিচ্ছেন! ভদ্রলোকের স্ত্রীও উপস্থিত অনুষ্ঠানে। খুব বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়লেন তিনিও। সবাই চুপচাপ বসা? এবার সেই বক্তা নীরবতা ভাঙলেন।
বললেন, ‘সেই নারী হলেন আমার মা।’ একথা বলার পর সবাই অবাক এবং বলার ঢঙের কারণে মুগ্ধ। কিছুক্ষণ সবাই চুপ। তারপর শুরু হলো তালি। পুরো হলরুমজুড়ে হাসি আর তালি? সেই ভদ্রলোকের স্ত্রীর মুখেও স্বস্তির হাসি। কারও কারও চোখে আবেগে জল চলে এলো। মায়ের কথা মনে পড়ায়। সবাই সেই বক্তাকে এককথায় সমঝদার বক্তা বলে প্রশংসা করলেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক শ্রোতা এই বক্তব্য শুনে মুগ্ধ। বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে চমকে দিয়ে একজন সমঝদার লোক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা করলেন তিনি। বাসায় ফিরে রাতের খাবারদাবার শেষে স্বামী-স্ত্রী মিলে টুকটাক গল্প শুরু হলো। ভদ্রলোক দু’চারখানা কবিতা আবৃত্তি করলেন।
স্ত্রী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার! কী হয়েছে তোমার? আজ বেশ অন্য রকম লাগছে তোমায়।’ এবার সেই ভদ্রলোক বেশ নাটকীয়ভাবে বললো, ‘জানো? আমি জীবনের সবচেয়ে মধুর দিনগুলো এমন এক নারীর সঙ্গে কাটিয়েছি, যিনি আমার স্ত্রী নন।’ এই কথা শুনেই স্ত্রীর চেহারা গেলো বদলে। চোখ বড় বড়। আগুন জ্বলছে। চোয়াল শক্ত। হাত-পা টানটান হয়ে এসেছে।
এই দেখে স্বামী গেলেন ঘাবড়ে। এরপর কী বলতে হবে সেটাও বেমালুম ভুলে গেলেন! শুধু বিড়বিড় করে বললেন, ‘সে নারী যে কে, ঠিক মনে করতে পারছি না!’ এরপর? নিজেকে সমঝদার প্রমাণ করা তো দূরের কথা, ভদ্রলোককে ভাঙা হাত-পা নিয়ে একমাস হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিলো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :