এম এ হালিম : বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধ্বসের ৬ষ্ঠ বছরে ২৪ শে এপ্রিলকে গার্মেন্টস শ্রমিক দিবস ঘোষনা, শ্রমিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, নিহত শ্রমিক পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ৪৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন প্রদান, আহত-পঙ্গু শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরন ও পুর্নবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, সাভার-আশুলিয়া-ধামরাই শিল্পাঞ্চল কমিাটর উদ্যোগে সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট-শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি এডভোকেট সৌমিত্র কুমার দাশের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রানা প্লাজা ধ্বসের ৬ বছর হতে চলছে এখনও ভবন ধ্বসে হত্যাকান্ডের ফলে নিহত ১১৩৬ জন শ্রমিক পরিবার তাদের স্বজন হত্যার বিচার পায় নাই।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ভবন মালিকসহ গার্মেন্টস মালিকদের বিচারের নামে কালক্ষেপনের কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের রক্ষার আয়োজন চলছে। একের পর এক কথিত দুর্ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বেশি (৮৬ভাগ) বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী খাত। তাই অবিলম্বে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরন আইএলও কনভেনশন অনুযাযী ৪৮ লক্ষ টাকা করাসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করে আইন প্রনয়ন ও আহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরন এবং পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে ১১৩৬ জনশ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ শিল্প দূর্ঘটনা হলেও এই দিনটিকে আজও সরকারীভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই, নিহত শ্রমিকদের স্মরনে আজও পর্যন্ত সরকারীভাবে কোন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়নি উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রানা প্লাজার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করে ২৪ শে এপ্রিলকে গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিবস হিসাবে ঘোষনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে অবিলম্বে শ্রমিক নেতা সৌমিত্র কুমার দাশসহ সকল শ্রমিকএবং শ্রমিক নেতাদের নামে দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মিথ্যামামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় বক্তারা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আহমেদ জীবন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, সাভার পৌর সাধারন সম্পাদক কাওসার আহমেদ, আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি মিলন মিয়া, সহ-সভাপতি সাইদ মিয়া ও রানা-প্লাজার আহত শ্রমিক মাসুমা আক্তার, সবুজ মিয়া প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :