মোহাম্মদ মাসুদ : দেশে প্রথমবারের মত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনকে ‘হিজড়া’ হিসেবে পরিচয় দেখিয়ে ভোটার করা হচ্ছে। এর আগে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নারী ও পুরুষ হিসেবে নির্ধারণ করে ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হত। ঢাকা ট্রিবিউন
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন তাদের ভোটার রেজিষ্ট্রেশন ফর্মে ‘হিজড়া’ হিসেবে পরিচিতি জ্ঞাপনের সিদ্বান্ত নিয়েছে, নারী বা পুরুষ হিসাবে নয়। ৫ বছর আগে রাষ্ট্র তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের হিজড়া হিসেবে স্বীকৃতি দিলে নির্বাচন কমিশন সে লক্ষে আইন পরিবর্তন করেছে। ইসি ২০০৯ সালের ভোটার তালিকা আইনে যেমন পরিবর্তন এনেছে তেমনি ভোটার তালিকা আইন ২০১২ তে পরিবর্তন এনেছে। ইসি জানিয়েছে তারা ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা শুরু করবে এবং ১৩ মে পর্যন্ত তা চলবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন শাখার পরিচালক (আপারেশন) আব্দুল বাতেন বলেন, এখন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের লোকেরা ভোটার তালিকার হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত হবে। এলক্ষ্যে ছাপা খানায় ফর্ম ছাপাতেও দেয়া হয়েছে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দিন উক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারের নির্দেশনা মতে তারা হিজড়া হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের লোকেদের তলিকা করবেন। ইসির কর্মকর্তারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে হিজড়া হিসেবেই তাদের তালিকাভুক্ত করবেন বলে তিনি জানান ।
এদিকে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন তাদের হিজড়া হিসেবে নির্ণয়ে আপত্তি করে বলেছে, তারা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এই পরিচয়েই পরিচিত হতে চায়।
সচেতন সমাজ সেবা হিজড়া সঙ্ঘের পক্ষে ইভান আহমদ কাথা বলেন, সরকারের উদ্যোগ ভালো। সরকারের সিদ্বান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এ ব্যাপারে অনেক কিছু পরিষ্কার করার ব্যাপার রয়েছে। কেননা, আন্তর্জাতিক বিশ্ব হিজড়া শব্দের সঙ্গে অতটা স্বচ্ছন্দ নয়। আমরা যখন বিদেশে যাবো হিজড়া পরিচিতি আমাদেরকে বিপাকে ফেলবে। কেননা বিশ্বব্যপী আমরা তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য হিসেবে পরিচিত। তাদের দেশেও এভাবেই পরিচিত করে।
আপনার মতামত লিখুন :