শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাকসুতে বেশি সময় দেয়া নেতা মাহমুদুল হাসান

কামরুল হাসান : দীর্ঘ ২৮ বছর পর আবার সক্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভোটে নির্বাচিত ছাত্র নেতা, কর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত ডাকসু ভবন।

ডাকসুতে সব থেকে বেশি সময় দেয়া সদস্যদের তালিকায় সবার ওপরে নাম থাকে সদস্য মো. মাহমুদুল হাসানের। সাধারণ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বেশির ভাগ সময়ই তাকে কোনো না কোনো রুমে পাওয়া যায়। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মনের কথা তার সাথে বলতে পারেন সবাই।

ডাকসু ভবনে ঢুকে দেখা যায় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর রুমে বসে একজন অসহায় মেধাবী ছাত্রকে মানসিক উদ্দীপনা যোগাতে ও তার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিতে।

ডাকসুর সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ২৮ বছর পর আমাদের প্রাণের সংসদে প্রাণ ফিরে এসেছে। আমি তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি তাই মেয়াদকালটা তাদের সাথেই কাটাতে চাই। আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলাম, আমাকে ভোট দেয়া মানে নিজের ভোট নিজেকে দেয়া। যেহেতু তারা আমাকে মনে করে নিজেদেরকেই ভোট দিয়েছে তাই তাদের জন্যই আমাকে উৎসর্গ করে দিতে চাই।

মাহমুদ বলেন, আমি এক মাস আগেও সাধারণ ছাত্র ছিলাম, তাদের সমস্যাগুলো আমারই সমস্যা ছিলো। তাই আমি আমার সমস্যা মনে করেই তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সমস্যা সমাধানে ডাকসুকে সহায়তা করছি। বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করে ও শিক্ষার মান বাড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা সত্যিকার অর্থে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বানাতে চাই। ডাকসুর প্রতিটি নেতার মনে একটাই স্বপ্ন।

ডাকসুর এই সদস্য বলেন, আমরা ইতিমধ্যে অসহায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির জন্য কাজ করছি। বেশ কয়েকটি ব্যাংক আমাদের সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরিবার, এ পরিবারের কোনো সদস্য যাতে মানবেতর জীবনযাপন না করে।

তিনি আরো বলেন, ডাকসু ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অযৌক্তিক বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করতে সক্ষম হয়েছে, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বীমার আওতায় আনা হচ্ছে, অনাবাসিক ছাত্রছাত্রীদের পরিবহনের জন্য বাসগুলোর ৬টি ট্রিপ থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা হয়েছে এবং হলগুলো থেকে অছাত্রদের বের করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে প্রত্যেকটি হলে নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ঢাবির কোনো হলে কোনো অছাত্র থাকবে না। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও মেয়েদের হলগুলো রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর হলেও অধিকার আদায়ের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রায় অর্ধলক্ষ ছাত্রছাত্রীদের অধিকার আদায়ের সংসদ নির্বাচন যেনো আর বন্ধ না হয় সে দাবিও জানান সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়