শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৩৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে ৫০ লাখ কোটি টাকা খরচ করেছেন গার্দিওয়ালা

স্পোর্টস ডেস্ক : স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনার ফুটবলকে আমুল বদলে দিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। যদি কখনো চিন্তা করে তাদের ইতিহাসের এখন পর্যন্ত সেরা কোচকে সম্মননা দিবে। তাহলে নিঃসন্দেহে নামটি আসবে পেপ গার্দিওয়ালার। কাতালানদের ফুটবল বিশ্ব শাসন যে তার হাত ধরেই। আর তৈরি করেছিলেন মেসি, জাভি আর ইনিয়েস্তাকে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য এক দল।

২০০৮-২০০৯ মৌসুমে ফুটবলবিশ্ব এক অপ্রতিরোধ্য বার্সেলোনাকে দেখেছিল। ওই সময় বার্সা যুগান্তকারী এক ফুটবল কৌশল তিকিতাকার আবির্ভাব ঘটেছিল। ২০০৯ সালে নিজের প্রথম মৌসুমেই ওই সময়ের দোর্দ- প্রতাপশালী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে জিতেছিলেন নিজের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কিংবা ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা সবখানেই চলছিল গুরু ফার্গুসনের আধিপত্য। আর সেই দাপটকে ধূলোয় মিশিয়ে বার্সাকে জেতালেন তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ।

এরপর ২০১১ সালে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগে স্যার অ্যালেক্সের মুখোমুখি পেপ। এবারও সেই পুরাতন ফলাফল। স্যার ফার্গুসনকে আবারও পরাজিত হতে হল মাত্র তিন মৌসুম ধরে সর্বোচ্চ পরজায়ে কোচিং করানো গার্দিওয়ালার কাছে।

তবে গার্দিওয়ালা ২০১২ সালে বিদায় জানায় বার্সেলোনাকে। এরপর এক মৌসুম অবসরে কাটিয়ে ২০১৩-১৪ মৌসুমে দায়িত্ব নেন জার্মান জায়েন্ট বায়ার্ন মিউনিখের। আর এরপর থেকেই যেন শনিটা লাগে পেপের ঘাড়ে। শেষবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছিলেন ২০১১ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে। এরপর কেটে গেছে একে একে ছয় মৌসুম। তবে আর খেলা হয়ে ওঠেনি ফাইনাল।

আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নেশায় বায়ার্নের হয়ে কোচিংয়ের তিন মৌসুমে খরচ করেছেন ২০৪ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু দলকে ফাইনালে তুলতে ব্যর্থ হন। এরপর বায়ার্ন ছেড়ে সিটিতে পাড়ি জমানোর পরে পেপের পরিসংখ্যান আরও নিচের দিকে।

সিটিজেনদের হয়ে এই নিয়ে টানা তিনবার সেমিফাইনালেও উঠতে ব্যর্থ রেভল্যুশনারি এই কোচ। সিটিজেনদের হয়ে প্রথম মৌসুমে শেষ ষোল থেকে বিদায়, পরের দুই মৌসুমে কোয়ার্টার থেকে যথাক্রমে লিভারপুল আর টটেনহামের কাছে হেরে বিদায়। আর এই সময়ে আরব ধনকুবের শেখ মনসুরের খরচ প্রায় ৫২৯ মিলিয়ন ইউরো।

বার্সার হয়ে ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এই তিন মৌসুমে ব্যয় করেছেন ৩৮৩ মিলিয়ন ইউরো। ২০১৩ থেকে ২০১৬ এই তিন বছরে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে দল বদলের মৌসুমে ঢেলেছেন ২০৪ মিলিয়ন ইউরো। আর সব থেকে বেশি খরচ করছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ৫২৯ মিলিয়ন ইউরো।

তবে বার্সা ছাড়া আর কোন ক্লাবের হয়েই সম্ভব হয়নি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। শেষ ছয় মৌসুমের প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন পেপ। হিসাব করলে গার্দিওয়ালা তার জেতা একটি ইউসিএলের পেছনে খরচ করেছেন বাংলাদেশি টাকায় ৫০ লাখ কোটি টাকারও বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়