হ্যাপি আক্তার : দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আটকে আছে বিএনপি থেকে বিজয়ী ৬ প্রার্থীর জনের শপথ। তবে প্যারোলে নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় চলছে জামিনের আলোচনা। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বললেন, আলোচনার কথা শুনেছেন তিনিও। কিন্তু এ নিয়ে হয়নি কোনো নীতি নির্ধারণী বৈঠক। বিএনপি শুভাকাঙ্খী ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ জানান, জামিন ও শপথ নিয়ে চাপ রয়েছে দলে। যমুনা টেলিভিশন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের ১ বছরে পাল্টেছে রাজনীতির সমীকরণ। অসুস্থ্য চেয়ারপারসনের মুক্তি, চিকিৎসা ও নির্বাচিত ৬ প্রার্থীর শপথ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে বিএনপিতে।
বিজয়ীদের শপথ নিতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে, না হলে বাতিল হবে পদ। এ বিষয়ে সোমবার মহাসচিবের সাথে বৈঠক হয় ৫ বিজয়ীর। শপথ নেয়ার পক্ষে বেশির ভাগই। এক্ষেত্রে দলের শর্ত আইনী প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি।
শত নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, উভয় পক্ষের স্বার্থকে সামনে রেখে সামনের দিকে আগ্রসর হওয়া বাঞ্চনীয়।
তিনি বলেন, শপথ নেয়ার বিষয়ের দলের ভেতরে সবাই এক মত নয়, ভিন্ন মত আছে। তবে এই ভিন্ন মত যেন এমন না হয় যেন দলের ভেতরে ভাঙন ধরে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির পর বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে যদি আমরা মনে করি সংসদে যাওয়া প্রয়োজন, তখন হতে পারে। সেখানে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তারা সংসদে যাবে, এটা তার প্রতি আরেকটি অবিচার করা হবে। নীতিনির্ধারকদের দাবি সংকট ও মত পার্থক্য থাকলেও দলীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ আছে বিএনপি।
সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :