মো. আল-আমিন : সাগরে মাছের মজুত বাড়াতে সব ধরনের নৌযান দিয়ে মাছধরা সাময়িক নিষিদ্ধ হচ্ছে। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। চ্যানেল ২৪
জানা যায়, সাগরে মোট মাছ আহরণের ১০ থেকে ১২ শতাংশ আসে ২ শতাধিক ট্রলারের মাধ্যমে। বাকি ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ মাছই ধরে প্রায় ৬৮ হাজার নৌকা। তাই নানা মহল থেকে দাবী ওঠে, কাক্সিক্ষত সুফল পেতে নৌকাগুলোকেও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক নৌকার মাধ্যমে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলেরা। তাদের দাবি, নিষেধাজ্ঞার সময় প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা না পেলে পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে তাদের। এ নিয়ে জীবন-জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় আছেন প্রায় ৫ লাখের বেশি জেলে।
চট্রগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক বলেন, সবাইকে এটার সাথে সম্পৃক্ত করে এটাকে একটা সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়া আমাদের লক্ষ্য। কারণ ৬৫ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলে এর সুফল সারা জাতি পাবে।
অন্যদিকে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্রলার মালিকরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বিদেশি নৌযানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ নজরদারি এবং আন্তঃদেশীয় সমন্বয় প্রয়োজন। সাগরে বাংলাদেশ অংশে অনুপ্রবেশ ঠেকানো গেলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করলে কাক্সিক্ষত সুফল মিলবে।
উল্লেখ্য, প্রজনন মৌসুমে ৬৫ দিনের জন্য সাগরে বন্ধ থাকে মাছ ধরা। যা কার্যকর হয়ে আসছে ২০১৫ সাল থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :