শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে আগুন, পুড়ে গেছে যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সামগ্রী 

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:৫২ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌননিপীড়নকারী শিক্ষককে চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার

নিউজ ডেস্ক: দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গোপালঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. আক্কাছ আলীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে জানুয়ারি-জুন ২০১৯ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট ৮ সেমিস্টারের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূর উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ইত্তেফাক

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ড ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শেষ বর্ষের দু’ছাত্রী দেড় মাস আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে মো. আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। চলতি মাসের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই দুই ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রকাশ করা হয়। পরে সেটি ভাইরাল হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে ওই শিক্ষককে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বহিষ্কার করেন। পাশাপাশি তাকে সাময়িকভাবে প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ঈশিকা রায় ও এসিসিই বিভাগের সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়