শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৮:১০ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৮:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃষিজমি সুরক্ষায় নতুন আইন

নিউজ ডেস্ক : গ্রামাঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সহজ শর্তে গৃহনির্মাণ ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রস্তাবিত কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন, ২০১৯ এর খসড়ায় এ ধরনের প্রণোদনার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত নিতে সম্প্রতি খসড়াটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গ্রামাঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে বাসাবাড়ি তৈরি করে কৃষিজমি নষ্ট করা হচ্ছে। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। একটি পরিবারের জন্য একটি বাড়ি না করে, একটি বাড়িতে যদি ১০টি পরিবারের আবাসনের ব্যবস্থা করা যায়, তবে অনেক জমি বেঁচে যাবে। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে আবাসনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করছে সরকার।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দেশের আয়তন কম কিন্তু জনসংখ্যা অত্যধিক। এই কম আয়তনের মধ্যে অধিক জনসংখ্যার বাসস্থান নিশ্চিত করতে হলে পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ জন্যই পল্লী জনপদে বহুতল ভবন নির্মাণে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। শুধু তাই নয়, যে কোনো শিল্প-কারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস ভবন এবং অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও সরকার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হাউসবিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন শহর এলাকায় গৃহ নির্মাণে ঋণ দিচ্ছে। জায়গার মালিকানা নিশ্চিত করে কেউ যদি গ্রামাঞ্চলে বহুতল ভবন করতে চায় তবে সে ক্ষেত্রে সহজ শর্তে একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কৃষিজমি নষ্ট করে আবাসন, বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা, ইটের ভাটা বা অন্য কোনো স্থাপনা কোনোভাবেই নির্মাণ করা যাবে না। তবে অকৃষি জমিতে আবাসন, বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা প্রভৃতি স্থাপন করা যাবে। বাংলাদেশের কৃষিজমির ওপর শুধু কৃষক ও কৃষিজীবীর অধিকার থাকবে। এমন কি দেশের সব খাস কৃষিজমি কেবল ভূমিহীনরা পাওয়ার এবং ভোগদখল করার অধিকারী হবেন। খাস কৃষিজমি কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি খাসজমি ভূমিহীন ছাড়া অন্য কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়া হলে তা বাতিল করা হবে। চিংড়ি, তামাক, ইউক্যালিপটাসে নিষেধাজ্ঞা : কৃষিজমি বাঁচাতে সরকার পরিবেশের জন্য ক্ষতি করে এ ধরনের সব কমকা  বন্ধ করতে যাচ্ছে। কৃষিজমিতে চিংড়ি চাষেও নিষেধাজ্ঞা আসছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে তামাক চাষ ও ইউক্যালিপটাসজাতীয় বৃক্ষরোপণেও। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কৃষিজমি চিংড়ি মহাল হিসেবে ঘোষণা করা যাবে না এবং সরকার ঘোষিত নীতিমালা মোতাবেক চিংড়ি মহালের এলাকা অন্যান্য এলাকায় চিংড়ি চাষ করা যাবে না। এই অঞ্চলের আবহাওয়ার অনুকূল নয় এমন কোনো গাছ যেমন ইউক্যালিপটাস লাগানো যাবে না। পাশাপাশি কৃষি জমিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ফসলের (যেমন- তামাক) উৎপাদন করা যাবে না। আর ক্ষতিকর ফসল সময় সময় সরকার কর্তৃক গেজেট দ্বারা প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে খসড়া আইনে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়