শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৫:১৩ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৫:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ধরা পড়লেন মাদরাসা শিক্ষক (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট : কওমি মাদরাসাগুলির প্রধান শিক্ষাবোর্ড বেফাকের চলতি বছরের মেশকাত জামাতের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা ধরা পড়েছে। তাঁর পরিচয় মাওলানা মাহবুবুল আলম। ময়মনসিংহ সদরের হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদরাসার শিক্ষক তিনি। ময়মনসিংহের রেজায়ে মাওলা মহিলা মাদরাসায় বেফাকের পরীক্ষাকেন্দ্রে এ বছর দায়িত্ব পেয়েছিলেন মাহবুবুল আলম। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রশ্নফাঁসের মতো চরম অপরাধে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। প্রশ্নফাঁস তদন্তের জন্য গঠিত বেফাক ও হাইয়াতুল উলয়া বোর্ডের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তদন্ত এ হোতাকে বের করেছে।

জানা গেছে, মেশকাত জামাতের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের কপির কোড নম্বর অনুসরণ করে রেজায়ে মওলা মহিলা মাদরাসা-কেন্দ্রের হল পরিদর্শক মাহবুবুল আলমকে শনাক্ত করে তদন্ত কমিটি। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির বিশেষ টিম মাওলানা মাহবুবুল আলমকে ময়মনসিংহ থেকে পাকড়াও করে বেফাক অফিসে নিয়ে আসে। অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল ঘটনা তাঁর মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি স্বীকারোক্তি দেন।

স্বীকারোক্তিতে মাহবুবুল আলম জানান, পরীক্ষা শুরুর আগের দিন বেফাকের ময়মনসিংহ জোন থেকে রেজায়ে মওলা মহিলা মাদরাসার প্রশ্নপত্র প্রধান হল পরিদর্শক হিসেবে তিনি সংগ্রহ করেন। প্রশ্নপত্র সংগ্রহের পর নিয়ম হলো প্রশ্নপত্র নিয়ে সরাসরি পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে যাওয়া। কিন্তু মাহবুবুল আলম তা না করে প্রশ্নপত্র নিয়ে নিজের মাদরাসা হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদরাসায় চলে যান। সেখানে মাদরাসার এক শিক্ষিকার মাধ্যমে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে একটি করে কপি রেখে দেন। এবং এই কপিগুলোই পরবর্তী সময়ে তিনি ফাঁস করেন। এর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজনও জড়িত রয়েছেন এবং সবাই মিলে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে জানান মাহবুবুল আলম।

স্বীকারোক্তিতে তাঁর সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের নামও স্বীকার করেছে সে। তদন্ত কমিটি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মাহবুবুল আলমের অপরাধের লিখিত স্বীকারোক্তি নেন। এবং নিজের কৃত অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক আগামীতে এ ধরনের অপরাধ আর করবে না মর্মে একই স্ট্যাম্পে জবানবন্দী গ্রহণ করেন। স্ট্যাম্পে মাহবুবুল আলমের পিতা, শ্বশুর, বেফাক সহসভাপতি মাওলানা আবদুল হক এবং বেফাকের যুগ্মমহাসচিব মুফতি নুরুল আমীন জামিন হিসেবে সাক্ষর করেন। পরে তদন্ত কমিটি মাহবুবুল আলমকে এই মর্মে মুক্ত করে দেয় যে, ময়মনসিংহের স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম এবং বেফাক কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে ঘরোয়াভাবে তাঁর বিচার করবে। আদালতে তাঁর ব্যাপারে কোনো মামলা করা হবে না।

উল্লেখ্য, চলতি বছর কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস এবং মেশকাত জামাতের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে দু’টি জামাতের পরীক্ষা স্থগিত করে পুণরায় পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বেফাকুল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, দাওরায়ে হাদিসের প্রশ্ন ফাঁসকারীদেরও ইতিমধ্যে চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে খুব শিগগিরই তাদের ধরা হবে।

https://www.facebook.com/habibanwar.199/videos/1210846989074263/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়