এম. আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সারাদেশে নানা আন্দোলনের ঝড় উঠেছে। তাদের ব্যতিক্রম নন রাঙামাটি জুরাছরি থানার উপ-পরিদর্শক বশির আহমেদ। তিনি বুকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে কালজয়ী নুসরাতকে নিয়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করে চলেছেন। রাঙামাটি ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্ল্যাকার্ড বুকে নিয়ে ঘুরছেন তিনি। ওই প্ল্যাকার্ডে লিখা রয়েছে ‘নুসরাত বোন আমি ক্ষমা প্রার্থী, পারলে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা প্রার্থনা করা ছাড়া আমার যে আর কোন ক্ষমতা নাই।’
জেলায় জেলায় যাওয়ার অংশ হিসেবে বশির কক্সবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আসেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে নুসরাত হত্যার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, সবাইকে কাঁদিয়ে নুসরাত জাহান রাফি চলে গেছে অনন্তলোকে। আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে টানা পাঁচদিন ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শেষ বারের মতো চোখ বুঁজলো সেই মেয়েটি! প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশ ছিল তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর। সেই চেষ্টাও সফল করা গেল না। তার আগেই নুসরাত আমাদের এই কুলষিত সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাড়ি জমালো পরপারে। তার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা আন্দোলনের ঝড় উঠেছে। নুসরাত হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে তার জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করেন বশির।
আপনার মতামত লিখুন :