নুর নাহার : লেখাপড়ার মান ভালো। তাই প্রতিবছরই নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালি কয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত কক্ষ নেই। তাই ঘিঞ্জি পরিবেশে পাঠ নিতে হয় শিক্ষার্থীদের। লাইব্রেরী, ক্যান্টিন সংকট তো রয়েছেই। যমুনা টিভি
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা তিনটি গ্পেরু যে আলাদা কক্ষ থাকা দরকার তা নেই। লাইব্রেরী নেই যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা পড়ার সুযোগ পাই না। ৫-৬ জন করে একটি টেবিলে বসতে হয়। তখন অনেক অসুবিধা হয় লিখতে।
এলাকার স্বার্থে এক যুগ আগেই এই স্কুলের রুম দখল করে গড়ে ওঠে পুলিশ ক্যাম্প। সাময়িক ক্যাম্প স্থাপনের কথা বলা হলেও স্থানান্তরের কোনো পদক্ষেপ নেই বলে জানান বিদ্যালয় প্রধান।
কয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক এবিএম বদিউজ্জামান বলেন, একটি ভবন অর্থাৎ ৫ টি কক্ষ স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ক্ষতি হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।
তিনি বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা। এটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। হয়তো কোনো জরুরি কাজের জন্য কিছু দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি তাদের অনুরোধ করবো এটি তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেয়ার জন্য।
১৯৬৫ সালে স্থাপিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫০০।
আপনার মতামত লিখুন :