রবিউল আলম : স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, দুর্যোগ ও জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে জাতির ঐক্যের প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য রাজনীতি, রাজনীতির জন্য দল করতে হয়। অনেক বিষয়েই দলীয় বিতর্ক থাকবে, রাজনীতির নামই বিতর্ক। কোনো দল বিতর্কিত হতে পারে, প্রতিপক্ষকে বিতর্কিত করতে পারে ভোটের জন্য। জনগণের মনের মাঝে কতো বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে, প্রতিপক্ষের ভোটের বাক্সে আঘাত করার জন্য।
এই রাজনৈতিক বিতর্কগুলোই সুমধুর মনে হয় রাজনীতির জন্য। আমাদের কিছু ব্যক্তি, দিবস ও দুর্যোগকালীন বিষয়েও যদি বিতর্ক হয়, নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুনে যদি জাতিকে জড়ানো হয় তবে সে বিতর্ককে আমি বিতর্ক বলতে পারি না, তাকে আমি রাজনীতির স্বার্থরক্ষার হাতিয়ার মনে করি।
পৃথিবীতে বহু দেশের জন্ম হয়েছে, কিন্তু জনক নেই এই কথা আমি শুনিনি, জানাও নেই। জনক নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। জাতির জনক নিয়ে বিতর্ককারীকে দেশদ্রোহী বলবে, দেশের বিরুদ্ধে কথা মনে করবে। যার নেতৃত্বে দেশের জন্ম তাকে হেয় করে রাজনীতি করতে পারবেন না। রাজনীতি করার অধিকার তাদের নেই। যার নেতৃত্বে, যাদের অবদানে একটি দেশ অর্জন হয়েছে সেই নেতা ও সেই যোদ্ধাদের অসম্মানজনক কথা বলে সেই দেশে রাজনীতি করার অধিকার কোনো দেশ কখনো দেয়নি, দেবেও না।
শুধু আমার দেশে এর ব্যতিক্রম এখনো প্রকাশ্যে। মিডিয়াতে বুক ফুলিয়ে বাঙালি জাতির জনক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিরোধিতা করছে রাজনীতির মাধ্যমেÑহায়রে দেশ তুমি কতো হতভাগা। রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, রাজাকারদের মানুষ ঘৃণা করতে শিখেছে, বুঝতে পারছে দেশ ও জাতির জন্য তারা কী পরিমাণ ক্ষতির কারণ হয়েছিলো। বাংলার পবিত্র মাটি ও বাঙালির জনককে বিতর্কিত করে ওরা জাতীয় পতাকা নিয়ে টানাটানি করেছে এবং এই স্বাধীন পতাকা গাড়িতে নিয়ে ঘুরেছে। এদেশের উন্নয়ন ও বাঙালির অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির চোখে আঙ্গুল দিয়ে অনেক কিছু দেখিয়েছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করেছেন, ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। আগামী প্রজন্ম রাজাকার মুক্ত দেশ পাবে, আমরা আশাবাদী।
আপনার মতামত লিখুন :