শাহানুজ্জামান টিটু : একজন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, সাহসী মানুষ যিনি কখনো নতি স্বীকার করেননি তাকে তারা সরিয়ে দিয়েছে- এই যে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করা, ভয়ের একটা ফোবিয়া তৈরি করার জন্য। আমরা এই অবস্থার অবসান চাই। আমরা মনে করি যে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ধরনের নির্যাতনকারী, নিপীড়নকারী সরকারের পতন হতে বাধ্য।
বুধবার রাতে রাতে বনানীতে নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর বাসায় সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। সন্ধ্যায় বনানীতে ইলিয়াস আলীর বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, বড় ছেলে আরবার ইলিয়াস ও ছোট মেয়ে সাইয়ারা নাওয়ালসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
আমরা এখনো আশা করি ইলিয়াস আলী আমাদের মাঝে, তার পরিবারের মাঝে ফিরে আসবে, তার ছোট্ট মেয়ে বাবা বলে ডাকতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি যারা নিখোঁজ হয়ে গেছে, গুম হয়ে গেছে তারা ফিরে আসবে।
এই সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা মানি, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গুমের ব্যাপারটা আমাদের কাছে খুব একটা পরিচিত ব্যাপার ছিলো না। এনফোর্স ডিজ এপিয়ারেন্স এটা আমরা বইয়ে পড়তাম, ল্যাটিন আমেরিকায় এসব ঘটনা ঘটতো জানতাম। বাংলাদেশে এটা শুরু হলো এই সরকার আসার পর থেকেই, সেটা ২০১১-১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি গুম আছেন যেমন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আজমী, একজন ব্যারিস্টারসহ অনেকেই। ২০১৩ সালের দিকে যখন আন্দোলন চরম পর্যায়ে সেই সময়ে একসাথে অনেক ছাত্র নেতা গুম হয়েছেন। এর মধ্যে শাহিনবাগের মামুন, সুমন, মুন্নাসহ অনেকে। তাদের পরিবার আশা করে হয়ত তারা ফিরে আসবে কিন্তু এখনো ফিরে আসেনি। এরকম একটা নজিরবিহীন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এ সরকার।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বনানীর বাসা থেকে বেরুনোর পরপরই মহাখালীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামনে থেকে ইলিয়াস আলী নিজের গাড়ি চালকসহ গুম হন।
আপনার মতামত লিখুন :