শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:০৪ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমতলীতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

জয়নুল আবেদীন,আমতলী (বরগুনা) থেকে : বরগুনার আমতলীতে স্ত্রী শামসুন্নাহার মুক্তাকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্থ করে স্বামী আমিনুর মাতুব্বরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। দীর্ঘ ১৩ বছর পরে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার দুপুরে ওই আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে উপজেলার তারিকাটা গ্রামের মোজাপ্ফর মাতুব্বরের ছেলে আমিনুর মাতুব্বরের সাথে সামসুন্নাহার মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমিুনর স্ত্রী মুক্তার পরিবারের কাছে যৌতক দাবী করে আসছিল। যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় মুক্তাকে নির্যাতন করে আমিনুর ও তার মা সখিনা বেগম। ২০০৬ সালের ১৮ মার্চ মুক্তার কাছে ২০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে আমিনুর। মুক্তা এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওইদিন রাতে মুক্তাকে বেধরক মারধর করে। পরে আমিনুল ও তার স্বজনরা মুক্তাকে গলা টিপে হত্যা করে। মুক্তার মৃত্যু নিশ্চিত জেনে তার মরদেহ আসামীরা বাড়ির দক্ষিণ পাশে খালের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় রফেজ ও আবদুল হাই চৌকিদার দেখে ফেলেন। পরে তারা দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আমিনুরকে আটক করে আমতলী থানায় সোর্পদ করেন। ওই ঘটনায় ১৯ মার্চ আমিনুরকে প্রধান আসামী করে নিহত মুক্তার মা হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নামে আমতলী থানায় মামলা করেন। ওই বছর ৯ এপ্রিল আমিনুর ও তার মা সখিনা বেগমকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর পরে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ওই মামলার রায় দেয়। আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান স্ত্রী মুক্তাকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্থ করে স্বামী আমিনুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং মা সখিনা বেগমকে বেকসুল খালাসের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আমিনুর মাতুব্বর ও মা সখিনা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী হোসনে আরা বেগম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সকল আসামীদের ফাঁসি দিলে আমি খুশি হতাম।

আদালতের বারান্দায় আসামী আমিনুর বলেন, বাদী পক্ষ আমার সঙ্গে আপোস করেছে। তারপরও আমাকে সাজা দিয়েছে। আমি উচ্চ আদালতে আপীল করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়