শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৪৫ দুপুর
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাথরঘাটায় ৬৫দিন ইলিশ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে মৎসজীবীদের মানববন্ধন

ইমরান হোসাইন: ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ৬৫দিন ইলিশ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে বরগুনার পাথরঘাটায় জেলা মৎসজীবী ট্রলার মালিক সমিতির আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল বুধবার পৌরশহরের শেখ রাসেল স্কয়ারে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন জেলার মৎসজীবীরা।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্তে মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাবির হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র রোকনুজ্জামান রুকু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুর রহমান জুয়েল, কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান আকন মো. শহিদ, বনিক সমিতির সভাপতি অরুন কর্মকর প্রমুখ।

মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদ, পৌর পরিষদ, বনিক সমিতি, ফিশিং বোট মালিক সমিতি, মৎস পাইকার সমিতি ও রাজনৈতিক দল গুলো একাত্বতা পোষন করেন।

প্রতিবছর ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলে বাংলাদেশি জেলেরা ইলিশ শিকারে বিরত থাকে। এ ছাড়াও জাটকা নিধনের ক্ষেত্রে ৯মাস নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বরগুনার জেলেরা নিয়ম মেনে চলছে। ২০১৫ সালের মৎস ও প্রণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মৎস আইনে সংশোধিত ২০১৫ সালের ১৯ ধারায় প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ট্রলিং জাহাজ মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও উপকূলের জেলেরা মাছ শিকার করতে পারত। কিন্তু এখন উপকূলীয় জেলেদেরও একই আইনের আওয়তায় আনা হয়েছে।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালের মেরিন ফিশারিজ অর্ডিনেন্স এর সেকশন ৫৫ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে রুলস ১৮ এর সংশোধিত ১৯ ধারা বাতিল করে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আগের মত স্বাভাবিক ভাবে মাছ শিকার করতে পারে তার দাবি জানান। উপকূলীয় জেলেদের এই আইনের আওয়তায় আনায় তাদের না খেয়ে জীবন যাপন করতে হবে বলে জানান জেলেরা। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন বরগুনার জেলেরা সরকারের নিয়ম মেনে চললেও ট্রলিং জাহাজের জেলেরা ও মালিকরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় এলাকায় এসে ছোট-ছোট মাছ শিকার করে। এ সময় উপকূলীয় জেলেদের মারধরের অভিযোগও করছেন তারা। সুন্দরবন কেন্দ্রিক সশস্ত্র জলদস্যূ বাহিনী ও পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছে এমন অভিযোগ তুলে সরকারের কাছে এ গুলো বন্ধের আহব্বান জানান বক্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়