শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৯:১৪ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৯:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উইন্ডরাশে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশীসহ কমনওয়েলথ নাগরিকদের জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে ব্রিটিশ সরকার

সাইদুল ইসলাম, লন্ডন : বাংলা‌দেশসহ কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর নাগ‌রিককদের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে ব্রিটিশ সরকার। গত ১৩ই এপ্রিল ‘ইস্টার্ন আই’তে প্রকাশিত ‌নিজের লেখা এক কলামে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেনকে পুনর্নির্মাণ এবং আমাদের সম্প্রদায়, সংস্কৃতি ও সমাজকে সমৃদ্ধ করেছেন কমনওয়েলথভূক্ত দেশ থেকে আসা জনগণ। কিন্তু তারা ব্রিটেন থেকে অনেক অন্যায় ও অবিচারের শিকার হয়েছেন। প্রকাশিত প্রবন্ধে তিনি তার পরিবারের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। ওই প্রবন্ধে তিনি লিখেন, ‘যখন আমি হোম সেক্রেটারি হয়ে গেলাম, তখন আমি অবিলম্বে কমনওয়েলথ নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করি। গত বছর এপ্রিল থেকে, ৩৬০০ জনেরও বেশি লোককে উইন্ডরাস স্কিমের অধীনে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। যেখানে ভারত ও পাকিস্তান তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ৪০০ এরও বেশি নাগরিক রয়েছেন।

এই প্রকল্পটি তাদের জন্য উন্মুক্ত যারা ১৯৭৩ সালের আগে কমনওয়েলথ দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করার জন্য এসেছিলেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ এর আগে যে কোনো জাতীয়তা  থেকে এসে যুক্তরাজ্যকে তারা তাদের নিজস্ব বাড়ি বানিয়েছিলেন।

আমাদের এই প্রকল্পটি নিশ্চিত করবে যে, লোকেরা তাদের ভোগান্তির ও অত্যাচারের জন্য সঠিকভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে। এ কারণে তারা ব্যাপক ক্ষতির দাবিতে সক্ষম হবেন। এই স্কিমের আওতায় তাদের চাকরি, বাড়ি বা স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা  অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের সুরক্ষার জন্য নিরপেক্ষ আইনজীবীদের দ্বারা তত্বাবধান করা হবে। ভূক্তভূগীদের জন্য এই প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য আমরা ব্রি‌টেন ও ব্রি‌টে‌নের বাইরে থেকে অনলাইন এবং ফ্রি পোস্টের ব্যবস্থা রেখেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি বুঝতে পারি যে, এই সমস্যাগুলো প্রায়ই ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য অনন্য হিসাবে দেখা হয়। তবে আমি এই জাতীয় বিষয়গুলো সকল জাতীয়তার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, এশিয়ান সম্প্রদায়সহ ব্রিটেনের প্রতিটি সম্প্রদায়, যা এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয়েছে, তারা সকলেই এর ক্ষতিপূরণ পাবে। এই প্রকল্পটি ভুক্তভোগীর পুরো পরিবারের জন্যও খোলা থাকবে। তাই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর সন্তান, নাতি এবং পরিবারের অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সদস্যরা ভোগ করবে।

এই নিবন্ধের শেষে তিনি বলেন,  আমাদের যে বিশ্বাস হারিয়ে গেছে তার প্রতিস্থাপন করার পদক্ষেপ হিসাবে এই প্রকল্পকে দেখি, নিশ্চিত করতে চাই যে, যারা ভুগছেন তারা ব্রিটেনে তাদের জীবনযাপন চালিয়ে যেতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, আমি সম্পূর্ণ অভিবাসন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি ন্যায্য এবং মানবিক এবং দুর্বল যারা তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়