মো. আল-আমিন : বর্ষার আগ মুহুর্তে চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। তবে এসব মানুষ কোথায় যাবে, সেই সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। অতীতেও পুনর্বাসন ছাড়া দফায় দফায় এমন উদ্যোগ টেকসই হয়নি। চ্যানেল ২৪
গত একযুগে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে মারা গেছে তিনশোরও বেশি মানুষ। এখনো চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের মধ্যে অতিঝুঁকিতে ১৭টি। যেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছে ৮শ ৩৫ পরিবার। ১৫ মের মধ্যে যাদের উচ্ছেদে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
প্রতিবছরই বর্ষা বা তার আগমুহূর্তে পাহাড়ে উচ্ছেদ চালিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেয় প্রশাসন। তবে কয়েকদিন পর আবারো তারা ফিরে যায় সেখানে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, শুষ্ক মৌসুমে উদ্যোগ না নিয়ে আবারো বর্ষার আগে এ পদক্ষেপ কতটা সফল হবে?
আইনী জটিলতায় শুষ্ক মৌসুমে উচ্ছেদ চালানো সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আইনের বলা আছে জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার যদি মনে হয় প্রাকৃতিক কারণে কোনো দুর্যোগ ঘটতে পারে এবং সেখানে জীবনহানির আশংকা রয়েছে। তখন আইনে বলে আমি সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারি, এমনকি তাদের আটকও করা যাবে।
এ নিয়ে নগরবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, বর্ষাকালে কেউ সমস্যায় পড়তে পারে তা আমরা শীতকালেই বা যেকোনো সময় জানতে পারি, সুতরাং সেখানে জনদুর্ভোগকে লাঘব করার জন্য যেকোনো সময় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। আর উচ্ছেদ হলে পুর্নবাসন হয় না স্বীকার করে চট্রগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, উচ্ছেদ করে তাদের পুনর্বাসনটা কে করবে, কার জায়গায় করবে সে বিষয়ে কোনো সমাধান না থাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না।
আপনার মতামত লিখুন :