কেএম নাহিদ : আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নীনা গোস্বামী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের জবানবন্দী হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নারী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে করানোর নির্দেশ দিলো তা যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশ অবিলম্বে জেলা ও মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়ালের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রায়ের ফলে ভুক্তভোগির বিচার পাওয়া সহজ হবে। কারণ এই ধরনের মামলার প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল হলো জবানবন্দী এবং ডাক্তারী রিপোর্ট। বুধবার বিবিসি সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই ধরনের মামলার প্রথম নথি হলো জবানবন্দী আর ডাক্তারী রিপোর্ট। পরীক্ষার ক্ষেত্রে নারী ডাক্তার নার্স রাখা হলে রিপোর্ট সঠিক পাওয়া যাবে। ভুক্তভোগিরাস্বাচ্ছন্দ্যে তাদের জবানবন্দীর খুঁটিনাটি বলতে পারবে যা সঠিক বিচার পেতে কাজে লাগবে। কারণ এই সমস্ত বিচারে রিপোর্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল। কোনো নির্যাতনকারী যেনো আইনের ফাঁক দিয়ে বের হতে না পারে। যেখানে নারী ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া যাবে না সেখানে একজন গ্রহণযোগ্য কাউকে দিয়ে জবানবন্দী নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, অনেকদিন ধরে আমাদের সংগঠন এবং অন্য নারী সংগঠনের দাবি ছিলো এই ধরনের একটা রায়। দেরিতে হলেও এই রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এটা এমন সময় হলো যখন ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দী নিয়ে থানার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :