আবুল বাশার নূরু : আওয়ামী লীগের ভেতর ভিন্ন দল থেকে যোগ দেয়া নেতা-কর্মিদের ব্যাপারে উদ্বেগ বাড়ছে। গত বছরগুলোতে বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারিদের তালিকা তৈরি করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজিতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনার সন্দেহভাজন কয়েকজনের সাথে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা থাকা নিয়ে যে সমালোচনা বিতর্ক হচ্ছে - সে প্রসঙ্গে দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলা
নুসরাত জাহাত হত্যায় ডড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সোমবার পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পুলিশ বলেছে, প্রধান অভিযুক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আগে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও হালে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের তৃণমুলের নেতা কর্মীদের অনেকে বলেছেন, ক্ষমতার সুবিধা নিতে বিভিন্ন দল থেকে যোগদানকারির সংখ্যা উদ্বেজনক হারে বাড়ছে। সোনাগাজিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১৩ জনের মধ্যে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা সহ ১০জনকে ইতিমধ্যেই রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ সোনাগাজি পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাকসুদ আলমকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হলো। সোনাগাজি আওয়ামী লীগের একজন নেত্রী মর্জিনা আকতার বলছিলেন, সাবেক জামায়াত নেতা সিরাজউদ্দৌলা স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু'এক জনের সাথে যোগসাজশ করে চলতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আওয়ামী লীগকেই অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু সোনাগাজির ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারিদের নিয়ে দলটির নেতা কর্মিদের মধ্যে উদ্বেগ বেডেছে।
আপনার মতামত লিখুন :