শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সড়ক পরিবহনের নতুন আইন কার্যকর হলে আমরা বিপদে পড়বো, বললেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন

মাকসুদা লিপি: দিনের পর দিন চালকের বেপয়ারা গাড়ি চালানোতে জীবনহানি ঘটেই চলেছে এবং বিভিন্ন স্থানে অগিকান্ড ঘটা থেকে শুরু করে ঘটে যাচ্ছে নানান ধরণের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগিরা আসলেই কি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন? এর বিচারই বা কতটুকু হচ্ছে এসব বিষয় নিয়ে সোমবার ডিবিসি চ্যানেলের রাজকাহন অনুষ্ঠানে কথা বলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

সারা হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে নতুন একটি আইন তৈরি করা হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি থাকে দুর্ঘটনার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু নতুন আইনটি কার্যকর হলে সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানান ব্যারিস্টার সারা হোসেন। কারণ নতুন আইনে বলা হয়েছে একটি আর্থিক সহায়তা তহবিল তৈরি হবে এবং এই তহবিলের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আবেদন করতে হবে। কিন্তু সেখানে কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। আর তার জন্য পরবর্তীতে আরেকটি আইন করা হবে। তবে কথা হচ্ছে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা কিভাবে তহবিলে উপস্থাপন করা হবে? সবমিলিয়ে তখন আরো সমস্যার সৃষ্টি হবে। কারণ শির্ক্ষাথীদের আন্দোলনের মূল কারণ ছিলো জবাবদিহিতা ও ক্ষতিপূরণ। তাই নতুন আইনটি বাস্তবায়নের আগে এর যে সমস্যাগুলো আছে তা ঠিকঠাক করে বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরন পেতে অনেক কষ্ট করতে হবে।

তিনি আরো বলেন বর্তমানে মোটরযানের যে আইন রয়েছে সেখানে দেখা যায়, আদালত থেকে আদেশ না পেলে ইন্সুরেন্স কোম্পানীগুলো খুব সীমিত আকারে ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। আর যদি আদালত থেকে আদেশ আসে তখন যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ উল্লেখ থাকে ঠিক সেই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে পরিশোধ করবে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো। এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানি পরবর্তীতে আদায় করবে যে বীমা করেছে তার কাছ থেকে। ভারতে এমন আইন রয়েছে। তবে আমরাও আশাবাদি, এ বিষয়টি যখন উচ্চতর আদালতে কাছে উপস্থাপন করা হবে তখন আমাদের পক্ষেই রায় আসবে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে এই যে একের পর এক এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে আর তার ক্ষতিপূরনের জন্য এখানে ওখানে দৌড়াদোড়ি করতে হচ্ছে তার পেছনে মূল সমস্যাগুলো হচ্ছে আমাদের আইনগত কিছু সমস্যা। যেমন দেওয়ায়ানি আদালতে কেউ যেতে চায় না কারণ সেখানে যুগ যুগ ধরে আটকে থাকতে হয় ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য। তবে এরশাদের আমলে যে মটরযান বাহন আইন হয়েছে সেটা এখনও চলমান ।

সারা হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত অনেকে ক্ষতিপূরন পায় নি। যেমন বিআরটিসি বাসে রাজীবের হাত চলে গেল। তার ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা ছিলো। এছাড়া তারেক মাসুদ থেকে শুরু করে অনেকে সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে । তাদের ক্ষতিপূরণও এখনও পাওয়া যায়নি। আশা রাখি তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মোজ্জাম্মেলের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কার্যক্রম খুব দ্রুত শেষ হবে। আর তখন থেকে এটি আরও বেশি কার্যকর হবে। তখন কেউ ক্ষতিপূরণ না দিয়ে পার পেয়ে পাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়