নিউজ ডেস্ক: ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেয়ার পরপরই ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এই অপপ্রচারটি ছিলো কিলিং মিশনের অংশ। এমন অভিযোগ নুসরাতের পরিবারসহ সোনাগাজীবাসীর। তবে ফেসবুকে সমালোচিত পোস্টদাতা স্থানীয় সংবাদকর্মীর দাবি সাবেক ওসির কথায় তিনি ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সময় টিভি
৬ এপ্রিল সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়া হয়। এ ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে সোনাগাজী উপজেলার দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আবুল হোসেন রিপনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। তাতে বলা হয়- মাদ্রাসার ছাদে উঠে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় নুসরাত। এই পোস্টটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনা নিয়ে তৈরি করা হয় বিভ্রান্তি। রোববার (১৪ এপ্রিল) নুসরাত হত্যা মামলার আসামী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের আদালতে স্বীকারোক্তির পর নিশ্চিত হওয়া যায় পরিকল্পিতভাবেই এটা করা হয়।
এলাকাবাসী বলেন, এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনায় পরিপূর্ণ তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।
ক্যামেরার সামনে আসতে না চাইলেও মোবাইল ফোনে স্ট্যাটাসদাতা সেই স্থানীয় সংবাদকর্মী জানান, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের অনুরোধে তিনি আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেন।
সোনাগাজীর দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি আবুল হোসেন রিপন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি ওসি মোয়াজ্জেমকে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চাই। তিনি আমাকে বলেন ঘটনাস্থলে তারা টিম পাঠিয়েছেন। হয়তো মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তাই আমি এ স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম।
এদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই এর প্রধান জানান, তদন্তে পরোক্ষদেরও আমলে নেয়া হবে।
পিবিআই'র মহা-পরিদর্শক মনোজ কুমার বলেন, এ ঘটনায় বাইরের আরও কিছু লোক আছে তা আমরা জানতে পেরেছি। আমরা তাদেরকে ধীরে ধীরে চিহ্নিত করবো।
অসৎ উদ্দেশ্যে নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সোমবার ফেনী সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের মামলা আমলে নিয়েছেন আদালত। আর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পিবিআইকে।
আপনার মতামত লিখুন :