হ্যাপি আক্তার : ব্যাংক খাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সাথে বাড়ছে ঝুঁকিও । বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট-বিআইবিএম’র গবেষণা বলছে, দেশের ৫০ শতাংশ ব্যাংক সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতায় ব্যাংকগুলোকে নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তবে ব্যাংকাররা মনে করেন এ ধরণের উদ্যোগে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সচেতন হওয়ারও তাগিদ দিয়েছেন ব্যাংকার ও প্রযুক্তিবিদরা। ডিবিসি নিউজ।
ব্যাংকিং খাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আর্থিক লেনদেনকে করে তুলেছে অনেক দ্রুত ও সহজ। হাল আমলে কার্ড এবং মোবাইলে লেনদেন হয়ে উঠেছে বেশ জনপ্রিয়। সেই সাথে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংও। আর তথ্য প্রযুক্তির এসব ব্যবহার জীবনকে যত সহজ করছে তেমনি তৈরি হচ্ছে আর্থিক ঝুঁকি। গ্রাহকের অজান্তেই সাইবার অপরাধীরা লুটে নিতে পারে ব্যাংকে জমা রাখা বড় অংকের অর্থ।
পূবালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কেউ কার্ডের তথ্য হ্যাক করে নকল কার্ড বানিয়ে এটিএম থেকে ট্রানজেকশন করে। আ্যাকাউন্টের সব টাকা তুলে নিতে পারবে।’
বিআইবিএমএর গবেষণা বলছে, দেশের ৫০ শতাংশ ব্যাংক এখনো সাইবার আক্রমণ ঠেকানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।
বিআইবিএম’র অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, যত বেশি প্রযুক্তি এ্যাডাপ্ট করবেন, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি তত বাড়বে।’
ডাটালফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান বলেন, আর্থিকখাতে সাইবার আক্রমনের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকগুলোর উচিত একক তথ্য ভান্ডার সৃষ্টি করা।
এ সাইবার হামলার ঝুঁকি এড়াতে গোপন নম্বর বা পাসওয়ার্ড কারো সঙ্গে শেয়ার না করার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের সচেতন হওয়ারও তাগিদ দিয়েছেন ব্যাংকার ও প্রযুক্তিবিদরা। সম্পাদনা : মিলন।
আপনার মতামত লিখুন :