শিরোনাম
◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ০৬:৩৫ সকাল
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ০৬:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাকসু নেতারা নুসরাত হত্যার প্রতিবাদ না করায় ‘ব্যথিত’ তোফায়েল

নিউজ ডেস্ক : ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) ও হল সংসদের ভিপি, জিএস এবং এজিএসদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এটা নিয়ে আমি ডাকসুর কোনো নেতাকে আন্দোলন করতে দেখিনি। এই আচরণ আমাকে একটু ব্যথিত করেছে এবং আহতও করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রের প্রতিনিধি নয়, সকল ছাত্রের প্রতিনিধি হিসেবে আপনারা কাজ করবেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

হল থেকে অছাত্র বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার যখন ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যায় সাথে সাথে আমি হল ছেড়ে দিই। আমার ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর আমি একদিনও হলে থাকি নি। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান জানাই তারা যেন হলে থাকা সব অছাত্র বের করে করে দেয়।

তোফায়েল আহমেদ ডাকসুর ভিপি থাকাকালীন সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সময় শিক্ষকদের সাথে আমাদের অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো। আমরা শিক্ষকদের প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করতাম এবং তারাও আমাদের স্নেহ করতেন।

এই অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের মূল স্লোগান ছিলো 'অভিজ্ঞতা শুনি সমৃদ্ধ হই'। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৫ জন সদস্য ও হল সংসদের নির্বাচিত ২৩৪ জন সদস্য।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক জিএস ড. মোশতাক হোসেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রধ্যক্ষগন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য আন্তর্জাতিক ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড.খন্দকার বজলুল হক বলেন, ডাকসু শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করে না বরং সমগ্র বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। ডাকসু না থাকলে হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নভাবে রচনা করতে হতো। কারন ডাকসুর নেতারাই বাংলাদেশর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কীভাবে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করা যায় তার জন্য বঙ্গবন্ধু আগেই ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট জারি করে গেছেন। সেই অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এটি যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলবে বলে আশা করি। দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়