এস এম নূর মোহাম্মদ : শাবান মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। আদালত ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলেছেন, হাইকোর্টে আবেদনকারীদের বক্তব্য লিখিত আকারে গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিলের বৈঠকে আলোচনা করতে।
তবে এটিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবেহেলা বলে মনে করেন মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মাহবুবুল আলম। তার মতে বিষয়টি রহস্য জনক। চাঁদ দেখা কমিটিতে কেউ কেউ আছে যারা সবে বরাতে বিশ্বাসী না। যার কারনে এটি উদ্দেশ্য মূলক হতে পারে। এটা খুবই দায়সারা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাহবুবুল আলম বলেন, সেদিন মুন্সিগঞ্জের একজন ইমাম চাঁদ দেখেছেন, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের একজন চাঁদ দেখেছেন, ঝিনাইদহ থেকেও চাঁদ দেখা গেছে। আর ৬ এপ্রিল ৭টা ১৯ মিনিটে সব মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে কোথাও সাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাহলে প্রেসরিলিজ পাঠানো হয়েছে নিশ্চয় তারও আগে। প্রশ্ন জাগে, কতক্ষণ সময় তারা বৈঠক করলো?
তিনি বলেন, ৬৪ জেলা থেকে মেইল পাঠানো হলে এবং সেগুলো দেখতেও বেশ সময় দরকার। আমার মনে হয়, যারা চাঁদ দেখা কমিটিতে রয়েছে তাদের চাঁদ দেখার কৌনিক দুরুত্ব, অবস্থা, কোন তারিখে কোন অবস্থানে থাকবে এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক জ্ঞাণ নেই। তাদের সিেেস্টমের মধ্যেও অনেক গলদ।
তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়িতে যারা চাঁদ দেখেছেন তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, থানার ওসি এবং ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কেউই এলাকায় ছিলেন না। আর তাদের শহরে গিয়েও জানানো সম্ভব ছিলনা। পরে খাগড়াছড়ির ডিসি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিবকে জানানো হয়। সচিব বলেছেন, যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে এখন আর কিছু করার নেই। অথচ তখন বাজে রাত ৯টা।
আল ইহসানের সম্পাদক বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুটি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। রুইয়াতিল হিলাল মজলিশ বিষয়টি ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে জানালে তাদের কয়েকজনকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়। ১৭ জন সাক্ষি উপস্থিত হলেও কারো জবানবন্দি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :