শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৩৬ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইংরেজি আছে/১৩-৪-১৯ আরও কতো নুসরাত সিরাজের মতো অধ্যক্ষ বা শিক্ষকের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েও মুখ খুলেনি তার হদিস কি আমরা জানি?

কামরুল হাসান মামুন : এক বিখ্যাত so called হুজুর বলছেন : ‘একটা কুত্তি সাতটা বাচ্চাদেয়। কয়-কুত্তির পবংধৎবধহ লাগছে? আপনার একটার জন্য পবংধৎবধহ লাগবো আর হের্ সাতটার জন্য পবংধৎবধহ তো দূরের কথা একটা ট্যাবলেট পর্যন্ত খায় না জীবনে। বাঘ ভাল্লুক, ঘোড়া গাধা সবারই বাচ্চা হয় কারো ট্যাবলেট লাগে না, আলট্রাসোনোগ্রাম লাগে না, পবংধৎবধহ লাগে না, তোমার লাগে কেন? কী পাপ করছো? কী পাপ করছো হিসাব দেও। তোর লাগে কেন? আগের যুগের মায়েদের ১৫টা বাচ্চা হতো।

একজন স্ত্রীর ঘরে ১৫টা বাচ্চা হতো একটা ট্যাবলেটও খায়নি। আর এখন বাচ্চা একটা দেবো বাপরে বাপ্! গোটা পৃথিবী খবর হয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্মীপুরে একখান কথা আছে ‘আহদা মুরগি কড়কড়ায় বেশি। হাসি। ডিম্ একটা পারছে। ডিম একটা পারিয়া কক কক করিয়া এক ছিপটা দিয়া ডানা ঝাপ্টাইয়া একবার উড়া দেয় থাকের উপরে। হাড়িপাতিল কতোগুলা ফালাইছে। আরেক উড়া দিছে আরেক তাকের ওপরে বেচারির বাসুনকোসন যা ফালাইহে ওইডা ভাঙছে। এরপর এক উড়া দিয়া পুকুরের ওই পারে কি হৈছে? বিশ্ব সংবাদ ডিম একটা ফারছি। বুঝেন না? কন্সিভ করছে। আইজকা ডাক্তারের খবর, পরশু হাসপাতালের খবর, তরশু আলট্রাসোনোগ্রাম। মানে ডাক্তারের চেইন অফ কম্যান্ড। মানে সিলসিলা লাগাই দিছে বাড়িঘর দোয়ারের লগে। আপনার ডাক্তার। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মত চলবেন।

লাইন ধরছে। ঘৃণা লাগেনা মুসলমানের। আগের যুগের মহিলারা ঝগড়া লাগলে গালিগালাজ দিত তোরে ডাক্তারে ঘাটুক। ডাক্তার অমুক মহিলার বাড়িতে ডাক্তার আইছে এইটা শুনলে মহিলাদর সরম ছিলো লজ্জা ছিলো। আর এখন ডাক্তারের লাইন লাগাইয়া দেয়। আর ওই ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দিয়া ব্যাপারটাকে এমন জটিল করে শেষে পবংধৎবধহ ছাড়া উপায় নাই। কারণ সে পবংধৎবধহ শিখছে। তার তো ওই পেশা জিয়াইয়া রাখার জন্য ডজনে ডজনে পবংধৎবধহ না করলে তার শিক্ষার কি দাম রইলো? এইজন্য সে চাইবেই যেইভাবে করলে পবংধৎবধহ-এ নেওয়া যায়। ঐটাইতো আমার ব্যবসা’।

এইসব কোনো ভাষা। কোনো ভদ্র ভালো মানুষ এইরকম ভাষায় কথা বলতে পারে? এই ধরনের মানুষজনই হলো আমাদের ইসলামিক স্কলার। এদের ওয়াজ মাহফিলে তাদের বক্তব্যের অনেকাংশেজুড়েই থাকে দুইটা বিষয় নিয়ে ১. নারীদের হেয় করা ২. অন্য ধর্মকে হেয় করা। অথচ ধর্মীয় স্কলার হওয়া উচিত নরম প্রকৃতির, আস্তে কথা বলবেন, মিষ্টভাষী হবেন যেন উনাদের কথায় কেউ কষ্ট না পায়। আর আমাদেরগুলা চিল্লায়া উত্তেজনা তৈরি করাই হলো আসল উদ্দেশ্য। তার বক্তব্যে লক্ষ করুন সে কুকুর, ঘোড়া গাধাকে কি নিকৃষ্টভাবে। তার উপর নারীকে তার ভাবনায় যারা নিকৃষ্ট তাদের সাথে তুলনা। তারা হবেন সুন্দর মানুষের উদাহরণ। তারা পড়াশোনা করবেন।

যেমন তুলনামূলক ধর্মসাহিত্য পড়বেন, প্রশ্ন করবেন আর উত্তর খুঁজবেন। আমাদের এরা খালি খিস্তি খেউরে ব্যস্ত! এদের অনেকেই মনে করে নারীর জন্মই হয়েছে পুরুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য। একজনকে শুনেছি বলতে নারীর জন্মই একটা পাপ। যতোদিন পর্যন্ত ইসলামিক আলেম ওলামারা বা শিক্ষকগণ এই ধরনের মানসিকতার থাকবে ততোদিন পর্যন্ত মাদ্রাসার মাধ্যমে এই ধরনের জঘন্ন চিন্তার আরো বিস্তৃত হবে। ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাতের মৃত্যুর পর দেখুন মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা যৌন নিপীড়ক শুধু না বরং জঘন্য একটি খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত।

আর তারা ওই অধ্যক্ষের ফাঁসি চেয়ে আন্দোলন করার পরিবর্তে তারা ওই অধ্যক্ষের মুক্তি চেয়ে আন্দোলন করে। এটা ভাবা যায়? আরো কতো নুসরাত হয়তো আরো কত অধ্যক্ষ বা শিক্ষকের দ্বারা এইরকম যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েও মুখ খুলেনি তার হদিস কি আমরা জানি? সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আমি নিশ্চিত এইরকম আরো অনেক কিছু বের হবে। ইতোমধ্যেই আমরা জেনেছি এই অধ্যক্ষ এইরকম কাজ ওখানেও করেছে আর এর আগে যেই মাদ্রাসায় ছিলেন সেখানেও করেছে।
লেখক : বিশ^বিদ্যারয় শিক্ষক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়