স্বপ্না চক্রবর্তী : নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে হাতিরঝিলের ভবন থেকে নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। হাইকোর্টের কাছে দেওয়া মুচলেকা অনুযায়ী ১২ এপ্রিলেই কারওয়ান বাজারে নিজেদের শেষ অফিস করে সংগঠনের বর্তমান কমিটির নেতারা।
এই সময়ের মধ্যে ব্যবহার্য মালামাল উত্তরা অফিসে স্থানান্তর করে সোমবার সকাল থেকে নতুন ভবনে অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশ মতো আমরা রাজধানীর উত্তরায় অফিস কার্যক্রম শুরু করেছি। গত ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছেন। ১১০ কাঠা জমির উপর নির্মিত ভবনটির নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও আমাদের নিজেদের অফিস করার জন্য তৈরি।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। প্রথমে ছয় মাস এবং পরে সাত মাস সময়ও পায় তারা। সর্বশেষ গত বছর নতুন করে এক বছর সময় পায় সংগঠনটি।
সে সময় তারা মুচলেকা দেয়, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না। কিন্তু এর মধ্যে কারওয়ান বাজারের ভবনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আদালতে সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও অবশেষে নতুন ভবনে দাপ্তারিক কাজ শুরু করলো সংগঠনটি। এতে করে যেমন পরিবেশবাদীদের মনে স্বস্থি এসেছে তেমনি নতুন করে তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারাও।
আপনার মতামত লিখুন :