তপু সরকার হারুন : শেরপুরে বর্ণিল ও বৈচিত্রময় আয়োজনে বৈশাখী উৎসব উদযাপন করেছে শেরপুরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ আয়োজনে উপস্থিত শিশু-কিশোরসহ খুশী সবাই। বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই ভিবিন্ন স্থানে রঙ বেরংয়ের পোশাক পড়ে আসতে থাকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এবং পরিবার পরিজন নিয়ে শেরপুর প্রাচীনতম শহীদ দারোগ আলী পৌর মাঠে এসে জমায়েত হয়ে বৈশাখী উৎসব উদযাপন করেছে ।
পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে সকাল ৬টায় ডিসি উদ্যান চত্ত্বরে সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সকাল সাড়ে ৮ টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে শেরপুর জেলা প্রশাসন। ডিসি চত্তর থেকে রেব হওয়া বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা এবং দই-চিড়া ও মিস্টি দিয়ে বৈশাখি আপ্যায়ন করা হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজি আশরাফুল আজীম সহ সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকাল ১০ টায় ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মধ্য দিয়ে শেরপুর পুলিশ লাইন মাঠে বিভিন্ন স্কুলের শিশু, কিশোরদের বাংলা নববর্ষের উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার ও সহধর্মিনী পুনাক সভাপতি আলেয়া ফেরদৌসি। পরে জেলার ২২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নাচ, গান, আবৃত্তি ও ১৯৭১ সনে গণহত্যার শিকার সোহাগপুর বিধবাপল্লীর শহীদ জায়াদের জীবনাল্লেখ্য তুলে ধরে চলে অভিনয়।
এদিকে অনুষ্ঠান মঞ্চের পাশেই চলে বিভিন্ন খাবার ষ্টল থেকে টোকেনের মাধ্যমে দই-চিড়া সহ নানা খাবারের পরিবেশনা। এছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগর দোলা, যাদু, সাপের খেলাসহ খেলার সামগ্রীর স্টল ছিল এক বিশেষ আকর্ষণ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালসহ শহরের গুণীজন, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :