নিউজ ডেস্ক: ফেনীর সোনাগাজীতে অধ্যক্ষের নিপীড়নের শিকার হয়ে বিচার চাওয়ায় খুন হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির রক্তের দাগ ও জামার পোড়া অংশ এখনও পড়ে আছে ঘটনাস্থলে। সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কম্পাউন্ডে অবস্থিত তিন তলা সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন দেয়া হয় নুসরাতের গায়ে। ভবনের সিঁড়িতে এখনও নুসরাতের জামা-কাপড়ের পোড়া অংশ রয়ে গেছে।ওই স্থানটি ঘিরে রাখা হয়েছে, তদন্তের আলামত সংগ্রহের জন্য। যুগান্তর
৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসাছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকাপরা ৪-৫ জন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
আপনার মতামত লিখুন :