নুর নাহার :দাসিয়ারছড়া মূল ভূখন্ডে যুক্ত হওয়ার পর শিক্ষা কৃষিসহ নানা খাতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বিলুপ্ত প্রায় ছিটমহলটিতে । প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে গ্রামীন নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প। - - যমুনা টিভি
এ প্রকল্পের আওতায় সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে দেয়ার কথা নলকূপ ও রিং ওয়েল। নীতিমালা আছে হতদরিদ্রদের অগ্রাধিকার দিয়ে তা বিতরণের। অভিযোগ ওঠেছে, ঘুষ নিয়ে সুবিধাভোগিদের নাম ওঠানোর।
স্থানীয়দের অভিযোগ সুবিধাভোগির তালিকায় কিছু দুস্থের নাম উঠলেও ঘুষ না দেয়ায় নলকূপ ও রিং ওয়েল পায়নি তারা। অথচ অর্থের বিনিময়ে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের সব সরঞ্জাম বসেছে স্বচ্ছলদের বাড়িতে। দালাল চক্রের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা বলেন, পরের বাড়ি থেকে পানি এনে খাই। নাম লিখে নিলো নলকূপ দিলো না। ৫ হাজার টাকা দেবার কথা ছিলো সেখানে আগে ২ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে আর পরে বাকি ৩ হাজার টাকা দিতে হবে।
তারা আরো বলেন, গোসল করতে পারি না। অন্য বাড়ী থেকে পানি এনে সব কাজ করি। তার জন্যই আমরা টাকা দিয়ে কলটি নিয়েছি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বার্হী প্রকৌশলী সায়হান আলী বলেন, সাইডগুলো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ওয়ার্ড কমিটির সুপারীশে। আর সেখানে আমরা সদস্য সচিব। কর্তৃত্ব থাকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে।
কুড়িগ্রামের ১১ টি বিলুপ্ত ছিটমহলে ৩০০টি নলকূপ ও ১২০ টি রিং ওয়েল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :