বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় এক হাজার ১৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। এসব জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরেও নতুন ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ভবনের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। ছাদের অনেকটাই ধসে পড়া। দেয়ালের প্লাস্টার খসে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত।
সরোজমিনে এমন চিত্রের দেখা গেছে বাগেরহাটের শহীদ জিয়া বাগমারা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শুধু এ বিদ্যালয়টিই নয়, এমন আরও শতাধিক বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিছু বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও থেমে নেই শিক্ষা কার্যক্রম। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ শিক্ষকদের। অন্যদিকে, শিশুবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে প্রতি বছরই কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের ক্লাসে থাকতে ভয় করে। আমরা একটা ভালো স্কুল চাই।
অভিভাবকরা বলছেন, আমরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে দিয়ে ভয়ে থাকি; কখন ভেঙে গায়ের উপর পড়ে।
স্কুলটির এক শিক্ষক বলছেন, ১৯৯৪ সালে নতুন ভবন করা হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত একটি টাকাও সংস্কারের জন্য পাইনি।
অবশ্য, জেলার জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কারে সরকারের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানান বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. কবির উদ্দিন। তিনি বলেন, আশা করছি খুব দ্রুতই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো মেরামত করতে পারবো।
আপনার মতামত লিখুন :