শিমুল মাহমুদ : নুসরাত রাফির হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার একজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে অন্যজনকে রক্ষার চেষ্টা করছে। যারা রক্ষক প্রশাসন তারাও সরকারের কথা শুনে।
রোববার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে সকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের মানববন্ধনে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, পহেলা বৈশাখের শ্বাশত উৎসব, এটা আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতি। সংস্কৃতিতে যে সহাবস্থান সেটা হরণ করেছেন প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের উৎসবের প্রাঙ্গনে শান্তি নেই, আছে শুধু ভয় আর আতঙ্ক। প্রথমে ওই অধ্যক্ষ যে অন্যায় করেছিলো পুলিশ যদি পদক্ষেপ নিতো তাহলে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব নেতারা নুসরাতকে আগুনে পুড়ে ফেলতে পারত না।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দলের উদ্যোগে নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। পরে নুসরাতের অগ্নিদগ্ধ ছবি হাতে মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা বিচার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে যা কাকরাইলের নাইটেঙ্গল মোড় পর্যন্ত যায়।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরজাহান ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আখতার, ইয়াসমীন আরা হক, পেয়ারা মোস্তফা, আমেনা খাতুন, মমতাজ বেগম, শামসুন্নাহার বেগম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সেই সোনাগাজী থানা পুলিশের ওসিও আইনের পদক্ষেপ নিলেন না। বরং নুসরাতের সাথে মিস বিহেব করলেন। তার ভিডিও ছবি তুলে সেটি ভাইরাল করে দিলেন। যে সরকারের কথায় পুলিশ প্রশাসন চলে সেই সরকার আইনের সরকার নয়। তার প্রশাসনও আইনের প্রতিপালন করবে না।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদীর প্রতীক দেশনেত্রী আজ কারাগারে। আমাদের আশা ছিলো দেশনেত্রীকে নিয়ে পহেলা বৈশাখ করবো। আমরা পারিনি। দেশে শান্তি ফিরে আসবে, আমরা সেটা পারিনি।
আপনার মতামত লিখুন :