জিয়ারুল হক : বিশ্বায়ন যেমন প্রভাবিত করছে বাঙালিকে, নিজস্ব স্মারকে বাঙালিও জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে। জাতীয় মাছ ইলিশ এখন বাংলাদেশের জিআই পণ্য। জামদানী ও শীতল পাটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়। বর্ণিল সুতোর বুননে বিশ্ব বাজারে বেড়েছে নকশি কাঁথার কদর।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষগুলোর পরিচিতি মাছে-ভাতে বাঙালি বলে। এর মর্যাদা আরো বাড়িয়েছে ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক--জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৭ সালে পাওয়া স্বীকৃতি। এতে এই মাছ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃত সারা বিশ্বে। পাশাপাশি ইলিশের জিন রহস্য উদ্ঘাটনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আদায় করেছে বাঙালি।
শীতল করা, ক্লান্তি-হরা যেখানে তার অঙ্গ রাখি, সেখানটিতেই শীতল পাটি। কবিতায় সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এ পাটিকে তুলনা করেছেন বাংলার মাটির সঙ্গে। শোনা যায় এটি জায়গা করে নিয়েছিলো রানি ভিক্টোরিয়ার রাজপ্রাসাদেও। ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয় শীতলপাটি।
নানা রঙের সুতায় আবহমান বাঙলার আনন্দ-বেদনার কাব্য নকশী কাঁথা। গৃহিনীর নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তোলা নিজের জীবনেরই ছবি। এর পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা ঐশ্বর্য বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উজ্জ্বল করেছে আন্তর্জাতিক মণ্ডলে।
ঢাকাই মসলিনের স্বীকৃতি এসেছে জামদানীর হাত ধরে। জামদানী বুনন পদ্ধতিও ইউনেস্কোর নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত।
আর এসব নিয়েই বিশ্ব দরবারে নিজেকে গর্ব ভরে তুলে ধরছে বাঙালি। সূত্র : ইনডিপেন্ডেন্ট
আপনার মতামত লিখুন :