নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিভিন্ন হাওরের বোরো ধানক্ষেতে কোল্ড ইনজুরি রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কিটনাশক প্রয়োগ করেও কোনও লাভ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষকদের অভিযোগ, অজ্ঞাত রোগ সম্পর্কে কৃষি বিভাগ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বিষয়ে এলাকায় কোনও ধরনের মাইকিং বা কৃষকদেরকে নিয়ে কাউন্সিলিং দৃশ্যমান হয়নি।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক জমির ধানের শিষ সাদা হয়ে গেছে। শিষের গোড়ায় প্রথমে এ রোগ দেখা দিয়ে ক্রমান্বয়ে তা পুরো শিষকে গ্রাস করে। এ অবস্থায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২১ হাজার তিনশ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮, সাত হাজার ৯শ ৬৫ হেক্টর ও ব্রি-২৯, ১০হাজার চারশ ২৫ হেক্টরসহ অন্যান্য প্রজাতির নয়শ ৩০ হেক্টর জমি চাষাবাদ করা হয়। হঠাৎ করে প্রতিকূল আবহাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন হাওরে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ রোগের প্রভাবে ক্ষেতের ধানের শিষ আস্তে আস্তে সাদা হয়ে শুকিয়ে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাদিছুজ্জামান হাদিস বলেন, তার এলাকায় এ রোগ ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে কীটনাশক দিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় কৃষকেরা চরম হতাশায় রয়েছেন। জমিতে ধানের শিষ থাকলেও তাতে কোনও ধান নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ বলেন, এ বছর কৃষক বন্যা আতঙ্কে বীজ রোপণের সময় হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে ক্ষেতে ধান বীজ রোপণ করায় ধান গাছগুলো প্রচণ্ড ঠাণ্ডার সময় থোড় হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে আগে তা বুঝা যায়নি, এখন ফসল পাকার সময় ধরা পড়েছে অধিকাংশ ধানে চাল নেই চিটা।