ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলা নববর্ষ। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি একসঙ্গে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে। প্রবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন সবাই করে থাকে কিন্তু বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখের যে আমেজ লক্ষ্য করা যায় সেটি বিদেশের মাটিতে লক্ষ্য করা যায় না। যুগান্তর।
যদিও প্রবাসী বাংলাদেশিরা পহেলা বৈশাখকে নিজেদের মত করে উদযাপন করে। ঘরোয়া অথবা সন্মিলিতভাবে এ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। খুব ঘটা করে বাংলাদেশের মত পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার সুযোগ বিদেশের মাটিতে হয়ে ওঠেনা তবুও বাঙালি হিসেবে নিজেদের বাংলা নববর্ষ উদযাপন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতেও পারে না।
অস্ট্রিয়াতে প্রায় ১০ হাজার বাঙালির বসবাস। এত কম সংখ্যক বাঙালি থাকা সত্ত্বেও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কোন কমতি নেই। প্রতি বছর বাঙালিরা এ পহেলা বৈশাখ পালন করে। বিশেষ করে কয়েকটি সংগঠন এ পহেলা বৈশাখ সন্মিলিতভাবে উদযাপন করে থাকেন। অস্ট্রিয়াতে সবচেয়ে পুরোনো বাংলাদেশিদের সংগঠন বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতি প্রতি বছর বাংলানববর্ষ উদযাপনে এগিয়ে আসে। তাদের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন থাকে বাংলাদেশ থেকে আগত সংগীত শিল্পীরা।
বাংলাদেশ থেকে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী অস্ট্রিয়া সমিতির পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে থাকে অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন। মূলত জাতি ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি বাঙালীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া কালচারাল একাডেমী, বাংলাদেশ যুব সংগঠন, বাংলা ক্লাব ভিয়েনা, বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ, অস্ট্রিয়া বিক্রমপুর সমিতি, নোয়াখালী সমিতি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান উদযাপন করে থাকে। বিশেষ করে ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস পহেলা বৈশাখের ভিয়েনাস্থ সকল বাংলাদেশিদের নিয়ে উদযাপন করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, কাজের ব্যস্ততার কারনে সবাই একসঙ্গে মিলিত হতে পারে না।
সুতরাং যে কোন রবিবার পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। পহেলা বৈশাখের মাধ্যমে ভিয়েনাতে বেড়ে উঠা তরুন প্রজন্ম বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছে। বাবা মা যারা বাংলাদেশ থেকে ভিয়েনাতে এসে স্থায়ী হয়েছেন তাদের সন্তানদের অনেকেই বাংলা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। তাই দেখা যাচ্ছে তরুন প্রজন্মকে পহেলা বৈশাখের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। ভিয়েনাতে বেড়ে ওঠা তরুন প্রজন্ম খুব আনন্দের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকে। একটি বিষয় লক্ষনীয় পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠানগুলোতে স্থানীয় অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে।
কারন অস্ট্রিয়া দেশটিতে বিভিন্ন জাতি ধর্মের লোক বসবাস করে এবং অস্ট্রিয়ার জনগন অন্য দেশের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ব্যাপক আগ্রহ থাকার কারণে প্রতি বছর অস্ট্রিয়ার স্থানীয় অধিবাসী ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিকের উপস্থিত লক্ষ করা যায়। আশা করা যায় এই বছর বাংলা ১৪২৬ সালকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরই মধ্যে ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতি বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে যাচ্ছে। এছড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :