শুক্লা পঞ্চমী
এই শহরে আমি আর মেঘ
দুজনেরই কোনো বাড়ি নেই
ডানা নেই তবুও উড়ি এবং ঘুরি।
একদিন মেঘের সাথে চুক্তি করেছিলাম
আমি তাকে ঘর দেবো সে দেবে ডানা।
সায়াহ্নের শেষ সূর্যের পানে চেয়ে
আমরা কিছুক্ষণ প্রার্থনাও করেছিলাম।
জানি না কি কারণে, দুজনেই শপথ ভঙ্গ করলাম
আমি খেয়েনিলাম মেঘ
আর মেঘ খেয়েনিল আমার সদিচ্ছা।
যদিও আমি আগে থেকেই ছিলাম তল্পিতল্পাহীন
কিন্তু আমার এই দেহো অস্থিসার!
আর এই ভুরুযুগল, এর ছিলো যুগল ধ্বনি।
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আহ্নিক শেষে
মিলে যেতো সন্ধিক্ষণে।
একদিন সূর্যাস্তের পানে চেয়ে দেখি
মেঘ আর বাতাস করছে টানাটানি।
কী ভীষণ! কী ভীষণ! চিৎকারে ফেটে যাচ্ছে ব্রহ্মার তালু
আমি তখন ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছি।
আর দেখছি জানু বেয়ে নামছে গঙ্গার অজানুলম্বিত চুল।
দীর্ঘথেকে দীর্ঘতর সেই চুল
আমি ঢেকে গেলাম সেই চুলের ভেতর
নিমজ্জিত সুর্য আমারই মতো ডুবু ডুবু
ঢুকে যাচ্ছে রাহুর মুখের ভেতর।
আমাদের ভেতরে আর কোনো বিভেদ নেই আকাক্সক্ষা নেই
বাহুভেদ করে একে অন্যের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করছি
মেঘ আমাকে দিচ্ছে কোলাহলের জল
আর আমি জপে যাচ্ছি
ওঁম শ্রী বিষ্ণু শ্রী বিষ্ণু শ্রী বিষ্ণু।
আপনার মতামত লিখুন :