মোহাম্মদ মাসুদ : বিআইডব্লিউটিসির অধিকাংশ জাহাজ ও ফেরির ফিটনেস নেই। ফলে তাদের কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই। দ্য ইনডেপেনডেন্ট
বর্তমানে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি, যাত্রাবাহী ওয়াটার বাস এবং কোষ্টাল সি ট্রাক রয়েছে ১৮৪টি। প্রকাশ এই সংস্থার জাহাজ ও অন্যান্য যানগুলো পুরোনা এবং আউটডেটেড। কিন্তু এগুলোর চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে সমুদ্র সংকুল এলাকার। দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেস সর্টিফিকেট নেই। সংস্থার একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান তাদের জাহাজগুলো অধিকাংশেরই তলা ফাটা। ফলে মাঝ নদীতে এবং সমুদ্রে চলাচলকালে বড় ধরনের বিপত্তি ঘটার আশংঙ্কা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির ফেরির সংখ্যা ৮৪টি। তাদের রয়েছে ৬টি স্টীমার ও ইনল্যান্ড শিপ এবং উপকুলীয় যাত্রীদের জন্য রয়েছে ৪টি উপকুলীয় জাহাজ, ১৪টি কোষ্টাল সি ট্রাক, ৬টি ওয়েল ট্যাংকার, ১২টি ওয়াটার বাস, ৪টি কন্টেইনার জাহাজ এবং ৮টি টাগ বোট।
বিআইডব্লিউটিসির অস্ট্রিচ, লেপচা, টার্ন, মধুমতি ও বাঙালী স্টীমারগুলো বাদামতলী ঘাট থেকে ছেড়ে মেরেলগঞ্জে যায়। সূত্র মতে, উল্লেখিত প্রতিটি জাহাজই শতাব্দী প্রাচীন। বর্তমানে এগুলো বাংলাদেশের এন্টিকস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রনয় কান্তি বিশ্বাস বলেন, তাদের সংস্থার জাহাজগুলোর ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। পূর্ণ মেরামত করে এগুলো চলাচলের জন্য পানিতে ভাসানো উচিত। তিনি স্বীকার করেন যে, শতাব্দী প্রাচীন জাহাজগুলো বাংলাদেশের এন্টিকস হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। তিনি অবশ্য বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে জাহাজগুলো পরিদর্শন করে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :