শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:৩৫ রাত
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লায় আলোচিত তুহিন হত্যা মামলার মূল আসামি ডিবি পুলিশের হাতে আটক

মাহফুজ নান্টু: কুমিল্লা নগরীর ১নং ওয়ার্ডের ভাটপাড়া (পূর্বপাড়া) এলাকার মৃত আলী নেওয়াজ মিস্ত্রী এর ছেলে কুমিল্লা ইর্ষ্টান ইয়াকুব প্লাজার কাপড় দোকানের বিক্রয়কর্মী মোঃ তুহিন (৩০) হত্যা মামলার মূল আসামি বাবুল ওরফে চোরা বাবুলকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের একটি টিম। শুক্রবার রাতে আসামি বাবুলকে গ্রেফতারের পর শনিবার কুমিল্লা আদালতে হাজির করলে সে তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

জানা যায়, নিহত তুহিন ও আসামী বাবুল একই এলাকার বাসিন্দা, তুহিনের বড় ভাই মোঃ শাহেনেওয়াজ এর মেয়েকে আসামি বাবুল বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসতো। এ বিষয়ে তুহিনের বড় ভাই কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করলে আসামী বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সম্প্রতি আসামি বাবুল জেল থেকে বের হয়ে আবারো উত্যক্ত করে আসছিল। এদিকে তুহিনের ভাতিজির অন্যত্র বিবাহ নির্ধারণ হয়। বিয়ের দিন আসামী বাবুল তুহিনের ভাতিজিকে বিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিতে আসে। এসময় তুহিনের বাঁধার মুখে আসামি বাবুল ব্যার্থ হয়ে ফিরে যায়। বিয়ের ২০ দিন পর গত মাসের ৩১ তারিখ রোববার রাত সোয়া ৮ টায় তুহিন বাড়ি ফেরার পথে আসামি বাবুল তুহিনের উপর সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। এসময় আসামী বাবুল তুহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তুহিনের ঘাড়ে, মাথায় ও পেটে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা তুহিনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তুহিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হামলার এক দিন পর ১ এপ্রিল সোমবার রাত পৌনে ১২ টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তুহিন মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় তুহিনের বড় ভাই শাহেনেওয়াজ বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আসামি বাবুল গা-ডাকা দেয়। কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনার ১২ দিনেও আসামীদের গ্রেফতার করতে না পাড়ায় বৃহস্পতিবার মামলাটি ডিবি পুলিশের নিকট হস্থান্তর করা হয়।

কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ নাসির মৃধা জানান, মামলাটি হাতে পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডিবি পুলিশের এস আই নন্দন সরকার ও এস কামাল হোসেনের সমন্বয়ে একটি টিম শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকা থেকে মুল আসামি মোঃ বাবুল ওরফে চোরা বাবুল (২৮) কে গ্রেফতার করে। শনিবার আটককৃত আসামি বাবুলকে কুমিল্লা আদালতে হাজির করলে আসামি বাবুল তুহিন হত্যার বিষয়ে জড়িত রয়েছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে আসামি বাবুলকে কুমিল্লা জেলখানায় প্রেরণ করেন।

নিহত তুহিনের বড় ভাই শাহেনেওয়াজের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত তুহিন ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সকলের ছোট ছিল। নিহত তুহিনের একটি মেয়ে আছে, সে বর্তমানে ২য় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তিনি বলেন, আমি আমার ভাইকে, ছোট্ট শিশুটি তাঁর বাবাকে আর ফিরে পাবেনা। তবে খুনিদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় এই দাবি প্রশাসনের নিকট করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়