শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:৪২ রাত
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আলেমের চরিত্রহনন করায়’ নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট: ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যা নির্দেশ আসে জেল থেকেই। মামলায় প্রধান আসামি ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ‘একজন আলেমের চরিত্রহনন’ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দেন।

তার এ নির্দেশ পালনের মূল দায়িত্বে ছিল নুর উদ্দিন।

দেশজুড়ে আলোচিত এ হত্যার পেছনে কাজ করেছে আরো একটি কারণ। সেটি হলো, শাহাদাত হোসেন শামীমের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল নুসরাত। এ দুটি কারণ মিলিয়ে মোট ১৩ জনের পরিকল্পনায় খুন হন নুসরাত।

শনিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। দুপুরে ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

গত শনিবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় সোমবার নুসরাতের মা এবং ভাই সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার নয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে সিরাজ উদ দৌলা ছাড়া বাকিরা হলো- সোনাগাজী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুকছুদ আলম (৪৫), পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের নুর উদ্দিন (২০), একই গ্রামের ভূঞাবাজার এলাকার শাহাদাত হোসেন শামিম (২০), জাবেদ হোসেন (১৯) ও ছফরপুর গ্রামের হাফেজ আবদুল কাদের (২৫), ওই মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিনের (৩৫), পৌরসভার তুলাতলি এলাকার যোবায়ের আহম্মেদ (২০)।

তবে যে চারজন নুসরাতের শরীরে আগুন দেয় তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান বনজ কুমার।

তিনি বলেন, হত্যাকারীরা যেই হোক তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ আছে উচ্চপর্যায় থেকে। এ হত্যায় সংশ্লিষ্টদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় থানায় মামলা করলে গ্রেপ্তার হয় অধ্যক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয় তার সহযোগীরা। তারপর তারা ওই ছাত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

এ ছাড়া আগে একবার নুর উদ্দিনের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নুসরাতের চোখে চুনের পানি ছোড়া হয়। ওই ঘটনার শাস্তি না হওয়ায় আসামিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে জানান পিবিআই প্রধান।

তিনি বলেন, নুসরাত যে মেয়েটির নাম শম্পা বলেছে তার নাম চম্পাও হতে পারে।

পিবিআই জানায়, এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার নয়জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। একজনের রিমান্ড শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে এবং চারজনের রিমান্ড চলছে।দেশ রুপান্তর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়