আফজাল হোসেন, শ্রীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে বখাটেদের উক্ত্যক্তে এক স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহননের ঘটনায় শুক্রবার রাতে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আত্মহননের শিকার কিশোরী শিমলা রাণী দাস (১৫), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামের নৃত্যানন্দ দাসের মেয়ে। শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের সাটিয়াবাড়ি গ্রামে হানিফ হাওলাদারের বাড়িতে ভাড়া থেকে তাঁর বাবা বাজারে জুতা সেলাইয়ের কাজ করতো ও মা স্থানীয় ডার্ড কম্পোজিটের একজন শ্রমিক। শিমলা রাণী রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল।
এঘটনায় সাটিয়াবাড়ি এলাকার চন্দন বাবুর ছেলে রাজ কুমার চন্দ্র মনি দাস (৩০) ও নিপেন্দ্র চন্দ্র মনিদাসের ছেলে রিপন চন্দ্র মনিদাস (২৭) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় বাবা নৃত্যানন্দ দাস জানান, শিমলা রাণী দাস বিদ্যালয়ের আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই তার এক সহপাঠিকে জড়িয়ে অভিযুক্তরা নানা ধরনের অপবাদ দিতো। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বাড়িতে পুজা অর্চনা চলার সময় শিমলা রাণী দাসকে অপবাদ দিয়ে নানা ধরনের অপমানজনক কথা বলে উত্ত্যক্ত করে ওই দু’জন। এতে সে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে সারারাত কান্নাকাটি করে। পরদিন শুক্রবার বাবা-মা দু’জন কাজে চলে যাওয়ার পর শিমলা রাণী দাস ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। তাদের ধারণা সে বখাটের উক্তক্তের কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে ভাড়া বাড়ি থেকে শিমলা রাণী দাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়, পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় দুইজনকে অভিযুক্ত আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়ায় এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :