স্পোর্টস ডেস্ক : ঘটনাটি ছিলো গত বছরের মার্চ মাসে। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে (নিদাহাস ট্রফি) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে আম্পায়ারদের নো বল দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছিলো। তাতে ক্ষেপে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি সাকিব আল হাসান। সেটা পছন্দ না করে সেই বিষয়ে আইসিসির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কার। এবার একই রকম কান্ডে জড়িয়েছে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নাম।

টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে মাত্র একটি বাউন্সার দেওয়া যায় আর ওয়ানডেতে দেওয়া যায় দুইটা। সেদিন ম্যাচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে বোলারের দেওয়া বাউন্সারকে আম্পায়ার দিলেন লিগ্যাল ডেলিভারি আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন সাকিব আল হাসান। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে গেল গোটা দল। সাকিব অভিযোগ তুললেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠে মাহমুদউল্লাহও তখন ফিল্ড আম্পায়ারকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কোন কথা কানে তুলছে না, কিন্তু ভিডিও ফুটেজ বলছে সেটা আসলেই নো বল ছিল। তাই এক পর্যায়ে সাকিব মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার জন্য দুই ব্যাটসম্যানকে ইশারা করেন।

যদিও শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই মাহমুদউল্লাহ’র বীরোচিত ইনিংসে ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। কিন্তু সবখানে সমালোচিত হচ্ছিল সাকিবের দলকে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ। ভারতের প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার ও সাবেক খেলোয়াড় সুনীল গাভাস্কার সাকিবের অতি আবেগি কর্মকান্ডের নালিশ রেখেছিলেন আইসিসির কাছে।

ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেছিলেন, “আজ যেটা হয়েছে সেটা ভাল কিছু ছিল না। আইসিসিকে এই বিষয়ে আরো কঠোর হতে হবে। সাকিব মাঠের আম্পায়ারের ডিসিশনকে অমান্য করেছে তার বিচার হওয়া উচিত। তাদের বোর্ডেরও উচিত এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা।”

আইপিএলের এবারের আসরে ঘটলো অনুরূপ এক ঘটনা। চেন্নাই সুপার কিংসের তখন রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে দরকার ৩ বলে ৮ রান। শেষ ওভারের চতুর্থ বল করলেন বেন স্টোকস। স্লোয়ারটা হয়ে গিয়েছিলো ফুলটস, স্ট্রাইক ব্যাটসম্যানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা আম্পায়ার উলহাস গান্ডে সরাসরি নো বল কল করেন। ঐ সময়ে ব্যাটসম্যান দুজন দুই রানের জন্য দৌড়ান।

চেন্নাইয়ের তখন লাগার কথা ৩ বলে ৫ রান, যেখানে এক বল থাকার কথা ফ্রি হিট। তবে হয়নি তেমনটা। লেগ আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ড ঐ বলটাকে নো বল মানেননি। সেটাকে ফেয়ার ডেলিভারি রায় দেন তিনি। এতে ফুসে ওঠে চেন্নাইয়ের ডাগআউটে থাকা সবাই।

চেন্নাই দলপতি তখন এই ব্যাপারে নিজের অসন্তোষ আম্পায়ারদের জানাতে ডাগআউট থেকে সরাসরি মাঠে প্রবেশ করেন। তখন আম্পায়ারদের সাথে তর্কে জড়াতে দেখা যায় তাঁকে। টিভিতে ধারাভাষ্যকারদের বলতে শোনা যায় অধিনায়কের এরকম মাঠে ঢুকে পড়া তাঁরা কখনো দেখেননি, এটা অবাক করার মতো কান্ড। ক্রিকেট নাইন্টি সেভেন