মোহাম্মদ মাসুদ : ব্যাংককের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক জয়শ্রী রায় বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে টেকসই জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এই সুবিধা নেয়ার জন্য বাংলাদেশকে এখনই জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগে যেতে হবে। বিবিসি
বাংলাদেশের ন্যায় ঘন জনবসতি এবং বিপুল চাহিদার ক্ষেত্রে টেকসই জ্বালানির নীতি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এটাকে সুযোগ হিসেবে দেখছি। যখন একটি দেশে নতুন পাওয়ার প্লান্ট বসে তখন সুযোগ থাকে আমি পারমাণবিক, জিওর্থামেল, সোলার না হাইড্রোবেষ্ট করবো। আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে সম্পূর্ণ নতুন পথে উন্নয়নটাকে ভাবার।
জয়শ্রী রায় বলেন, টেকসই পরিবেশবান্ধব জ্বালানির পক্ষে যাওয়াটা সহজতর কিন্তু যেটা প্রয়োজন আর্ন্তজাতিক সহযোগিতা। আমাদের নতুন করে টেকনোলজি ডেভেলাপ করতে হবে না, যেটা করতে হবে টেকনোলজি পার্টানরশীপ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সেদিকে পদক্ষেপ নেন সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে যারা বিনিয়োগ করতে চাইবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু গ্যাস অবকাঠামো রয়েছে সেহেতু দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশী সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এটাকে কাজে লাগিয়ে হাইড্রোজেন এবং জিওথার্মেল এর্নাজি ভিত্তিক জ্বালানিরক্ষেত্র পরিকল্পনা করা যাবে। বর্তমান সময়ে শুরু করলে আগামী ১০ বছর পরে রূপায়ন হবে এবং সেটাই ঠিক আছে। সিদ্বান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এখনই বিনিয়োগ শুরু করতে হবে।
শুধু শিল্পভিত্তিক উন্নয়নে নয় কৃষিক্ষেত্রেও এগোতে হবে। কৃষিক্ষেত্রকে অনেকবেশী এয়েসিয়েন্ট হতে হবে এবং কোল্ডষ্টোরেজ তৈরি করতে হবে। যাতে চাষীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সেখানে রেখে মার্কেটে নিয়ে যেতে পারে, যাতে তারা ন্যয্য দাম পায় এবং আয় বাড়ে। এটাকে আমরা বলছি প্রডাক্টিভ এনার্জি।
আপনার মতামত লিখুন :