ফাতেমা ইসলাম : ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত রাফির ওপর যৌন নিপীড়ন এবং তাকে কেরোসিন ঢেলে গাঁয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনার পরেও কেন স্থানীয়ভাবে কোন প্রতিবাদ হয়নি তা নিয়ে সোনাগাজী গার্লস পাইলট হাই স্কুলের শিক্ষিকা বিথী রানী গুহ বলেন, নুসরাতের সাথে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমিই প্রথম সকল শিক্ষক ও ৭শত ছাত্রীদের নিয়ে মাঠে নামি। সারাদেশের মত সোনাগাজীর মানুষও ছিলো বিক্ষুব্ধ কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর ভয়-ভীতি ও হুমকির মুখে হয়তো অনেকেই সেভাবে সোচ্চার হতে পারেনি। বিবিসি
তিনি বলেন, ২৭ তারিখে যখন মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হলো ২৮ তারিখে সকল শিক্ষক এবং ছাত্রীদের নিয়ে ১১ টায় রাস্তায় আবস্থান করেছি প্রায় ৪৫ মিনিট। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রী নির্যাতনে অধ্যক্ষের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছি। আন্দোলন করার জন্য কেউ সরাসরি কিছু বলেনি তবে ফেসবুকে অনেক লেখালিখি হয়েছে। যেমন লেখা হয়েছে মাদ্রাসার ছাত্রীরা কিছু বলছে না কিন্তু পার্শ্ববর্তী স্কুলের ছাত্রীদের কেনো উস্কাচ্ছে। অনেকেই পছন্দ করেনি এটা।
তিনি আরো বলেন, নুসরাতকে আগুন দেওয়ার পরেও এলাকাবাসী তেমন সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করেনি। তবে নুসরাত মারা যাবার পরে ১২ তারিখ থেকে মুখর হয়েছে। সোচ্চার প্রতিবাদ না হওয়ার কারণ হলো স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের ভয়। তবে আমি একজন প্রতিবাদী মহিলা তাই সকল শিক্ষকও ছাত্রীদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়ি।
নুসরাতের সাথে যেটা হলো তার পরেও আমি আমার জায়গা থেকে এক পাও না সরে লক্ষ্যে অটুট থেকে সকল ছাত্রীদের এমন একটি জঘন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উৎসাহ দিয়ে যাবো। পরবর্তীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটতে পারে। আর এটা আমার দায়িত্ব এখান থেকে কখনই পিছূপা হবো না।
আপনার মতামত লিখুন :