ইসমাঈল হুসাইন ইমু : বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বেড়েছে মিষ্টির চাহিদা। ঘরোয়াভাবে অতিথি আপ্যায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও থাকে মিষ্টিমুখের আয়োজন। বাড়তি চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সারা দেশের মিষ্টি তৈরির কারিগররা। নানা পদ ও স্বাদের মিষ্টি দিয়ে ক্রেতা সন্তুষ্টির কথা জানালেন বিক্রেতারা।
পয়লা বৈশাখে মিষ্টিমুখ করানো বাঙালির ঐতিহ্য। ঘরে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নের পাশাপাশি স্বজনদের বাড়িতে মিষ্টি পাঠিয়েও শুভেচ্ছা জানান অনেকে। এসময় ব্যবসায়ীদের হালখাতার আয়োজনের কারণেও মিষ্টির চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই সারা দেশেই ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদের।
কুমিল্লার রসমালাইয়ের পাশাপাশি প্যারা ও মিষ্টি দইয়ের চাহিদা বেড়েছে পয়লা বৈশাখে। মিষ্টির দোকানে ক্রেতাদের বাড়তি ভিড়। অন্য শহর থেকেও এসেছেন অনেকেই। পাবনার চাটমোহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মিষ্টির কারিগররা। ভালো মুনাফার আশায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
যেকোনো উৎসবেই বাড়তি চাহিদা থাকে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের। বর্ষবরণে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হচ্ছে সন্দেশ, ছানামুখী, ক্ষীর, কালোজাম, মালাইচপসহ নানা পদের মিষ্টি। পয়লা বৈশাখে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন কাঁচামাল সংকটে। তারপরও ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি তৈরির চেষ্টা করছেন তারা। এছাড়া যশোরের জামতলার মিষ্টির কদর বহুদিন থেকেই। ঢাকা শহরের অনেক ব্যবসায়ী আগেভাগেই অপ্রীম অর্ডারও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :