শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ০৭:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ০৭:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাওরপারে বন্যার আশঙ্কা, আধাপাকা ধান কাটছে কৃষকরা

নিউজ ডেস্ক : এশিয়ার বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি মৌলভীবাজারের হাওর হাকালুকি। জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, সিলেটের বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বেষ্টিত এ হাওরজুড়ে এখন আধাপাকা ধান।

তবে এ বছর আগাম বৃষ্টির কারণে কৃষকের মনে জেগেছে ফসল হারানোর শঙ্কা। গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে পানি বাড়ার কারণে কৃষকদের মনে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফসল হারানোর শঙ্কায় তারা কাটতে শুরু করেছেন আধাপাকা বোরো ধান।

কয়েকদিন আগেও ধান গোলায় তোলার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন হাওর অঞ্চলের কৃষকরা। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের চোখেমুখে ফুটে ওঠে হাসি। হাওরে উৎপাদিত এক ফসলি এই বোরো ধানের ওপর নির্ভরশীল তারা। বোরো ধানের আয় দিয়ে চলে তাদের সারা বছরের সংসার আর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ।

হাকালুকি হাওরপারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল গ্রামের কৃষক আজিজ, আহাদ মিয়াসহ অনেকেই জানান, বোরো ধান তাঁদের হাওরপাড়ের কৃষকদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র ভরসা। বোরো ধানের আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ।

জুড়ীর বেলাগাঁও গ্রামের কৃষক মোক্তাদির বলেন, আমি ১৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। যদি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হই তবে পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়বো তাই, ফসল হারাতে চাই না।

ভাটেরার হাওরপারের কৃষক সাইফুল ইসলাম রুকন, শাকির হোসেনসহ একাধিক কৃষক বলেন, এ বছর ধান ভালো হয়েছে। আগাম বৃষ্টির কারণে ধান গাছের নিচে পানি জমে গেছে, তাই ফসল হারানোর শঙ্কায় আমরা আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছি।

কুলাউড়া উপজেলায় এবার বোরো চাষা হয়েছে ৬৮০০ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড ১৮০, উফশী ৬৬০০ ও স্থানীয় ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বড়লেখা উপজেলায় চাষা হয়েছে ৪৪৪০ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড ২৬০, উফশী ৪০৬৫ ও স্থানীয় ১১৫ হেক্টর।

জুড়ী উপজেলায় আবাদ হয়েছে ৫৪৯০ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড ৬৯৫, উফশী ৪৬৫৩ ও স্থানীয় ১৪২ হেক্টর জমিতে।

কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার বলেন, বোরো ধান পাকতে আরো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। তবে, হাওরে বিচ্ছিন্নভাবে আগাম প্রজাতির ধান কাটা শুরু হয়েছে। মূলত ফসল হারানোর ভয়ে কৃষকরা এটা করছেন। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ রকম কিছু বৃষ্টি হয়। এতে শঙ্কার কিছু নেই।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, বৃষ্টিতে বোরো ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বছর কৃষকরা ঘরে ফসল তুলতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।

সূত্র : কালের কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়