জাবের হোসেন : চলন্ত মিনিবাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে চালক ও হেলপার। একপর্যায়ে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে রক্ষা পান ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করলেও পুলিশ অভিযুক্তদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। সময় টিভি
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে একটি পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, বাস থেকে নামার জন্য যখন কনট্রাকটরকে বললাম, তখন তিনি বললেন সাইট করে নামিয়ে দেবে। উনি আমাকে না নামিয়ে অন্য রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছিলো। যখন চিৎকার করে বলেছি আমকে নামিয়ে দেন তখন হেলপার আমার ওড়না পেঁচিয়ে ধরে। আমি তখন বাঁচার জন্য মোবাইল দিয়ে উনার হাতে বাড়ি দেই, উনি আমার হাত ছেড়ে দিলে আমি চলন্ত বাস থেকে লাফ দেই।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের। পরে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আশ্বাস দিলে মামলা করেন ওই ছাত্রী।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে ভিক্টিমকে খুঁজে বের করছি। তিনি গাড়ি এবং ড্রাইভারের বর্ণনা দিয়েছে।
সিএমপির উপকমিশনার মেহেদী হাসান বলেন, পরিবহন শ্রমিক নেতাদের জানিয়েছি, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাকেও জানিয়েছি। আমাদের এখন টার্গেট হচ্ছে যানবাহনটির ড্রাইভার এবং হেলপারকে খুঁজে বের করা।
আপনার মতামত লিখুন :