মঈন মোশাররফ : সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণকারী ৪৬ বছর বয়স্কা এক হিন্দু নারী, স্বামী, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাস করেন খুলনায়। উভয় জেলাই সুন্দরবনের অদ‚রে সাগরের তীরে অবস্থিত। সারা জীবনই এখানকার মানুষজনকে খাবার পানির তীব্র সঙ্কটে ভুগতে দেখেছেন এই নারী। সাগর থেকে আসা নোনা পানিতে তাদের জীবন কতটা দুর্বিসহ হয়ে ওঠেছে, তা তিনি ভালোমতোই জানেন। সাউথ এশিয়ান মনিটর
তিনি বলেন, এখন তারা প্রায় দুই মাইল দুরের একটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ থেকে পানি সংগ্রহ করে আনেন। তিনি ইউসিএনিউজকে বলেন, তিনি বা তার স্বামী পানি আনতে সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে খুলনার ক্যাথলিক চ্যারিটি কারিতাস পানির স্বল্পতা দূর করতে গ্রামে একটি বড় পুকুর খনন করেছে। তবে এখনো এখান থেকে পানি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
উপকূলীয় গ্রামগুলোতে বিশুদ্ধ পানির অভাব দৈনন্দিন সমস্যা। লবণাক্তকার কারণে এখানকার ভূগর্ভস্থ পানি পান করা যায় না। ফলে বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানে চাপকল বসিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ফলে পানযোগ্য পানির অভাব এখানে প্রকট।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমস্যাটি দিন দিন আরো মারাত্মক হয়ে ওঠছে ।
তিনি বলেন, আমাদের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, উপক‚লীয় এলাকার লবণাক্ততা সমস্যার বৃদ্ধি ঘটছে।
সাতক্ষীরা জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানকার লোকজনের প্রায় ৭০ ভাগই পুকুরের পানি সংগ্রহ করে। এ কারণে পুকুর খননে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :