নিউজ ডেস্ক : বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকার কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) ভর্তি হয়েছেন। সেখানে প্রাথমিকভাবে তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাসেল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাভারের সিআরপিতে উপস্থিত হলে তার পায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। পরে তারা জানান, পা লাগানোর সময় ২১ দিন তাকে সেখানে অবস্থান করতে হবে।
রাসেল বলেন, কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে ভর্তি নিয়েছেন। ডাক্তাররা আমাকে দেখেছেন, কিছু চেকআপও করা হয়েছে। ভর্তি নিলেও এখন আমি বাসায় চলে এসেছি। শনিবার আবারও হাসপাতালে যাব।
ভর্তি হওয়ার পরেও বাসায় কেন- জানতে চাইলে রাসেল বলেন, আমার পারিবারিক কিছু কাজ এবং গ্রীনলাইনের দেয়া ৫ লাখ টাকার চেক ভাঙানোসহ অন্যান্য কাজও করতে হবে তাই বাসায় ফিরেছি। শনিবার আবার যাব।
এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতের মাধ্যমে প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে ৫ লাখ টাকার চেক দেয় গ্রীনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গ্রীনলাইনের মালিক মো. আলাউদ্দিন ও তার আইনজীবীর মাধ্যমে রাসেলের হাতে এই চেক তুলে দেয়া হয়। এসময় আদালত চেকটি যাচাই-বাচাই করেন। বাকি ৪৫ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তাদের এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত আদেশে সিআরপি বা অন্য কোনো হাসপাতালে রাসেলের কৃত্রিম পা স্থাপনসহ সব চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গ্রীনলাইন পরিবহনকে বলেন।
গত বছর ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রীনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জাগো নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :