গোলাম মোর্তুজা, ফেসবুক থেকে: পুলিশ নুসরাতের মুখ থেকে নিপীড়নের পুরো ঘটনা শুনেছে, নির্মম-নির্দয় আচরণের সঙ্গে ভিডিও করেছে। সব কিছু জেনে-বুঝে সত্য চাপা দিয়ে, নুসরাতের অভিযোগকে ‘সাজানো ঘটনা’ হিসেবে প্রমাণ করতে চেয়েছে। পুলিশ সত্য চাপা দিয়ে অসত্য প্রচার না করলে, নুসরাত হত্যাকাণ্ড হয়তো ঘটতো না। পুলিশ সরাসরি হত্যা করেনি, কিন্তু পুলিশের কর্মকাণ্ড হত্যার দায়ে অভিযুক্তদের সহায়তা করেছে। শুধু অধ্যক্ষের নয়, পুলিশের ওসিসহ অন্যদেরও তদন্তের আওতায় আনা দরকার।
প্রশ্ন হলো, পুলিশের তদন্ত পুলিশ করলে তা কী সম্ভব? মনে হয় না। এর জন্যেই প্রয়োজন বিচার বিভাগীয় তদন্ত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্তে এক্ষেত্রেও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তারপরও আশা করার সুযোগ আছে। ‘নির্দেশ’ ‘কেউ রেহাই পাবে না’ ‘কঠোর শাস্তি’-শব্দগুলো হাস্যকর হয়ে যায়, যদি তদন্ত ঠিক না হয়।
জেলা প্রশাসন, স্থানীয় রাজনীতির প্রভাবশালী চক্র, জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার করা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :