হাবিবুর রহমান : নুসরাত। অপূর্ব নাম, আরবি। কিন্তু নুসরাতের চেহারায় আরবের কোনো বিশিষ্টতা নেই। পুরোপুরি বাংলার পলি মাটি দিয়ে গড়া। চেহারায় মাটির মাধুর্য স্পষ্ট। নারকীয় আগুন নুসরাতের দেহ গ্রাস করলেও মুখের দীপ্তি কেড়ে নিতে পারেনি। এমনি তার ব্যক্তিত্ব। নুসরাত আমাদের বাংলাদেশের সাধারণ মেয়ে। কিন্তু কেন এই সাদামাটা মেয়েটির এতো নিষ্ঠুর পরিণতি হলো? নুসরাতের অপরাধ কী ছিলো? নুসরাত আল্লাহকে ভালোবাসতেন। মাদ্রাসায় পড়তেন ধর্মকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্য।
বোরকা, নেকাব সবই পরতেন এবং পর্দা আব্রু রক্ষা করে চলতেন। তিনি তো তথাকথিত খারাপ মেয়ে ছিলেন না। মওলানা, মোল্লা ও ধর্মের ঠিকাদাররা যাদের খারাপ মেয়ে মনে করেন, নুসরাত তো তেমন মেয়ে ছিলেন না। তাহলে কেন তাকে মওলানার লালসার শিকার হতে হলো? যে মাওলানা তাকে লালসার শিকার করেছেন তিনি তো ইসলাম ধর্মের বিশারদ ছিলেন।
তিনি তো তথাকথিক ইহুদি-নাসারাদের পশ্চিমা শিক্ষা গ্রহণ করেননি । তিনি তো হাদিস, কোরআন খুব ভালো করে জানেন। এসব যে পাপ কাজ তাও জানতেন। তাহলে কেন তিনি এ মহাপাপ কর্মটি করলেন? আর আল্লাহই বা কেন তার অনুগত বান্দাকে রক্ষা করলেন না। এ প্রশ্নটি কী আল্লাহর কাছে করতে পারি? এতো মহাপরাক্রমশালী ঈশ্বর কেন একজন দুর্বল ও নিষ্পাপ নারীকে নিরাপত্তা দিতে অসমর্থ হলেন? তবে ঈশ্বর কী পুরুষ? পুরুষতন্ত্র টিকিয়ে রাখতেই তিনি পচ্ছন্দ করেন, যেমন করে মধ্যযুগীয় পুরুষকুল? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :